স্ত্রীই লক্ষ্মী! টোটো চালক স্বামীর ঘরে এল ১ কোটি, লটারিতে প্রথম পুরস্কার জয় মেদিনীপুরের গৃহবধূর

বাংলায় অন্যান্য কোনো শিল্প চলুক আর নাই চলুক লটারি (Lottery) শিল্প চলছে দিব্যি রমরমিয়ে। লটারি নিয়ে অবশ্য আলোচনার শেষ নেই। রাজ্যে লটারি আজ মানুষদের কাছে রোজগারের এক আদর্শ উপায় হয়ে ওঠেছে। তেমনই এবার ১ কোটি টাকা পেলেন মেদিনীপুরের (Midnapore) এক গৃহবধু।
ঘটনাটা আজকের নয়, বিগত ৩-৪ বছর ধরে লটারির টিকিট কাটছেন স্বামী স্ত্রী মিলে। পুরস্কার বলতে কোনো কোনোবার হয়তো ২-১ হাজার টাকা জিতেছেন বটে। কিন্তু বড় পুরস্কার এই প্রথম। তাও আবার একেবারে ১ কোটি টাকার! আর তাই শোনার পরেও বিশ্বাস করতে পারেননি তিনি।
লটারি দোকানের মালিক ফোন করে জানান মায়া কাচারিকে। প্রথমে তো খবর শুনেই সম্বিৎ হারান তিনি। দ্বিতীয়বার ফোন করে নিশ্চিৎ হন নিজের ভাগ্যলক্ষ্মীর ব্যাপারে। কিন্তু তাতেও কি আর সুখ মেলে! টিকিট নিয়ে সোজা থানায় ছুটে গেলেন মায়া। স্বামীকে নিয়ে থানায় সেই টিকিট জমা করার পর শান্তি মেলে।
ঘটনার স্থান পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর (Kharagpur) লোকাল থানার সালুয়া সংলগ্ন গোপালী এলাকায়। মায়ার স্বামী সুমন কাচারি পেশায় টোটো চালক। অভাবের সংসারে হাল ফেরাতে লটারির টিকিট কাটা শুরু করেন মায়া। নিকটবর্তী এক দোকান থেকে নিত্যই টিকিট কিনেছেন। কিন্তু এর আগে একবার ২ লক্ষ টাকা পেলেও আর তেমন কিছু মেলেনি।
মায়া বলেন, “আমিও লটারি কাটতাম প্রতিদিন। কোনো দিন বড় পুরস্কার পাইনি। তবে, ৩-৪ বছর আগে ও (স্বামী) একবার ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা পেয়েছিল। তার পর থেকে আমরা দু’জনই বড় কিছু পাইনি। এবার একেবারে ১ কোটি! বিশ্বাসই হচ্ছে না।” যদিও পুরস্কারের টাকায় তিনি কি করবেন সেটা এখনো ভেবে উঠতে পারেননি।