পাকিস্তানে রমজানের প্রথম দিনেই ঝটকা! বন্ধ হল গ্যাস সাপ্লাই, মাথায় হাত জনতার

পড়শি দেশ পাকিস্তানের (Pakistan) অবস্থা দিন দিন আরো খারাপ হয়ে পড়ছে। একে তো নেই কোনো মূলধন, তারপর খাদ্য সংকট এবং সন্ত্রাসবাদের কারণে ছারখার হয়ে যাচ্ছে তারা। মুদ্রাস্ফীতি যেভাবে বেড়েছে তাতে সমস্যা আরো গুরুতর হয়েছে। বিদ্যুত সংকটের পর এবার সেখানে শুরু হয়ছে গ্যাসের সংকট। প্রত্যন্ত এলাকা তো বটেই সাথে করাচি, কোয়েটা এবং রাওয়ালপিন্ডির মতো বড় শহরেরও গ্যাসের ঘাটতিতে সমস্যায় পড়েছে সাধারণ মানুষ।
সমস্যা এতটাই গুরুতর যে, পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দিনেই গ্যাসের সংকটের কারণে রান্না করাটাই সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা রিপোর্ট আসছে সেখান থেকে জানা যাচ্ছে, বিগত কিছুসময় ধরেই গ্যাস সরবরাহ ব্যহত হয়েছে। এমতাবস্থায় রমজানের চাঁদ উঠল বটে, কিন্তু তার সাথে বন্ধ হয়ে গেল গ্যাস সরবরাহ।
গ্যাস সরবরাহে ঘাটতির পর লোকেরা সেই নিয়ে সরকারের কাছে অভিযোগও দায়ের করে। যদিও সেহরি ও ইফতারের আগে গ্যাস পাওয়া যাবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল সরকারি তরফে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল সম্পূর্ন ভিন্ন চিত্র। বড় বড় শহরগুলোতেও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
পাকিস্তানে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহকারী সুই সাউদার্ন গ্যাস কোম্পানি (SSGC) গ্যাস প্রোফাইলিং অর্থাৎ কোন কোন সময় গ্যাস মিলবে তা আগেভাগেই নির্ধারণ করেছিল। সেহরি ও ইফতারিতে গ্যাস সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিলেও মেলেনি কোনো গ্যাস। এবিষয়ে SSGC এর তরফে সাফাই দেওয়া হয়েছে, গ্যাস মজুদের ব্যাপক ঘাটতির কারণে সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।
তবে পাকিস্তানিরা তাদের সংবামাধ্যমগুলোতে জানিয়ে দেন যে, বিগত ৪ মাস ধরে গ্যাসের সরবরাহ হচ্ছেনা পাকিস্তানে। রান্নার জন্য বাইরে থেকে ২.৫ কিলোর সিলিন্ডার কিনে নিয়ে আসতে হচ্ছে। আর সেজন্য ৬০০ টাকা খরচ করতে হচ্ছে তাদের। মাসে দুবার পূরণ করলে মোট ১২০০ টাকা খরচ ৫ কিলোর সিলিন্ডারের জন্য। আবার কোথাও কোথাও কয়লা দিয়ে রান্না করতে হচ্ছে।
পাকিস্তানের আরেক বড় শহর, কোয়েটার লোকজন স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, গ্যাস সরবরাহ না থাকায় তারা সেহরির জন্য কিছু রান্না করতে পারেননি। এদিকে লাগাতার অভিযোগ করলেও মোটেই শোনা হচ্ছে না তাদের কথা। যদিও সরকার এবং গ্যাস সরবরাহকারি SSGC এর তরফে অনেক সাফাই দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু রমজানের প্রথম দিনই যেন জানিয়ে দিল, সামনে আরো খারাপ দিন আসতে চলেছে।