ধ্বংসের মুখে ব্যবসা, সরকারকে বড়সড় হুমকি পাকিস্তানের তেল কোম্পানিগুলির! আরও বিপাকে শরীফ

পাকিস্তানের (Pakistan) অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে কমবেশি সবাই বেশ ওয়াকিবহাল। বিশেষ করে যেভাবে সেদেশে খাওয়া পরার অভাব বেড়েছে তাতে শীঘ্রই দেশটিকে নিজেদের বিভিন্ন লোনের ডিফল্ট ঘোষণা করতে হবে। এমনকি যুদ্ধবিধ্বস্ত তালিবানি রাজে থাকা আফগানিস্তানের অবস্থাও পাকিস্তানের থেকে অনেকাংশে ভাল। যেখানে আফগানিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার ১০ বিলিয়ন, সেখানে পাকিস্তান এখনো ১.১ বিলিয়নেই আটকে গেছে।
এদিকে ক্রমাগত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ার কারণে পাকিস্তানের তেল কোম্পানিগুলো তেলের জন্য আকুল হয়ে ওঠেছে। কিন্তু ডলার না থাকায় তেল আসছেনা পাকিস্তানে। আসন্ন খারাপ সময় সম্পর্কে পাকিস্তান সরকারকে সতর্ক করেছে সেদেশের তেল কোম্পানিগুলো।
সেদেশের তেল অ্যাসোসিয়েশন পাকিস্তানের অর্থ ও জ্বালানি মন্ত্রী ছাড়াও স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তানের গভর্নর এবং তেল ও গ্যাস নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকেও চিঠি দিয়েছে। সমিতির পক্ষ থেকে রুপির দরপতন আটক করার জন্য হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছে। OCAC (Oil Companies Advisory Council) জানিয়েছে, বর্তমান বিনিময় হারের ভিত্তিতে সরকারের অবিলম্বে দাম সংশোধন করা উচিত, নচেৎ পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
অবশ্য ডলার না থাকার কারণে যে শুধু তেল আমদানিতে সমস্যা হচ্ছে তাই না, একইসাথে বিভিন্ন কাঁচা মাল আমদানি করতেও বিরাট সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। ডলার না থাকার প্রভাব পড়ছে পাকিস্তানের মরমর শিল্পক্ষেত্রের ওপরেও। সাথে আবার বিদ্যুত সংকট শুরু হওয়ায় আশার শেষ প্রদীপও নিভতে বসেছে।
শিল্পহীন, সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র পাকিস্তানের সমস্ত কিছুই ধ্বংসের পথে। দেশকে বাঁচানোর জন্য শেষ চেষ্টা চালাচ্ছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির। তিনি দেশের শীর্ষ ১০ শিল্পপতিদের সাথে দেখা করেছেন এবং তাদের আশ্বস্ত করেছেন যে দেশের খারাপ সময় শেষ হয়েছে এবং আসন্ন সময় নাকি ভালো হতে চলেছে।
যদিও এই বয়ান কতটা সত্যি তা আসন্ন সময় বলবে। কারণ IMF এখনো কোনো প্যাকেজ ঘোষণা করেনি পাকিস্তানের জন্য। এমতাবস্থায় কোন খান থেকে সাহায্য পায় পাকিস্তান সেটাই দেখার।