মূল্যবৃদ্ধির জেরে মানুষের হাহাকেরের মধ্যে নতুন রেকর্ড গড়ল পাকিস্তান! আরও বিপদে শরীফরা

ধীরে ধীরে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান (Pakistan)। মুদ্রাস্ফীতি সেদেশে চরম রূপ ধারণ করেছে। আর তারফলে বিপর্যস্ত পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। বর্তমানে পাকিস্তানের মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে ৪১.৫৪% এ পৌঁছেছে। এর আগে গত সপ্তাহে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে ৩৮.৪২% এ পৌঁছেছে।
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ইতিমধ্যেই পাকিস্তানিদের হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। পেয়াঁজ, তেল, আটা, চাল ইত্যাদি আপাতত আম পাকিস্তানির হাতের বাইরে। এর মধ্যে জ্বালানির দাম কয়েকশ গুণ বেড়ে গিয়েছে। গত পাঁচ মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো সাপ্তাহিক মূল্যস্ফীতি ৪০ শতাংশের উপরে চলে গিয়েছে।
মুরগির মাংস, চিনি, রান্নার তেল, গ্যাসের মত পণ্য আপাতত সেদেশে অগ্নিমূল্য রয়েছে। প্রতি সপ্তাহেই বেড়ে চলেছে মুদ্রাস্ফীতির সমস্যা। কাঙাল অবস্থা হয়েছে দেশটির। এর মধ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর আবেদনে অবাক সারাদেশ।
ঋণের ফাঁসে ঝুলছে সারাদেশ। এসবের মধ্যে বিভিন্ন বিদেশী ফোরামে ভিক্ষার বাটি নিয়ে ঘুরে বেড়ালেও কেউই ঋণ দিতে রাজি নয়। পাকিস্তানের আয়রন ব্রাদার চিনও মাত্র ৭০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েই হাত তুলে নিয়েছে। এর মধ্যে আবার বিশ্বের সবচেয়ে ধনী পরিবারে রথসচাইল্ড পরিবারের কাছে হাত পেয়েছে।
কাঙাল অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে বাঁচার জন্য ইতিমধ্যেই পাকিস্তান সরকার তাদের নাগরিকদের ওপর আয়করের বোঝা চাপিয়েছে। এমনকি পাকিস্তানের মন্ত্রীরাও ভালো নেই সেদেশে! পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ তার মন্ত্রী ও উপদেষ্টাদের বেতন দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়া বিলাসবহুল গাড়ি ছেড়ে সাধারণ জীবনযাপন করার কথা বলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর তরফে।
পাকিস্তানের অনুমান এইভাবে তারা ২০০ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি সাশ্রয় করতে পারবেন। এছাড়া পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ দিয়েছেন দেশের অন্দরে সরকারের ব্যয় কমানোর। যদিও তার খুব বেশি প্রভাব এক্ষুনি দেখা যাবে বলে মনে করছেন না অর্থনৈতিক উপদেষ্টারা।