এক ঝটকায় দূর হবে দারিদ্র্য, পাকিস্তানের কাছে রয়েছে অঢেল টাকা! বাধ সাধল…

পাকিস্তান (Pakistan) ইতিমধ্যেই দেউলিয়া গিয়ে গিয়েছে। শুধু ঘোষণা করাটাই বাকি, সেটাও আবার জানিয়ে দেন সেদেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। একবার দেউলিয়া ঘোষণা করলে যে ভয়ংকর পরিণতি হবে সেদেশের সেটা কল্পনাতীত! তাই কখনো চিন, কখনো IMF তো কখনো ইহুদি রসচাইল্ড পরিবারের কাছে ভিক্ষার পাত্র হাতে নিয়ে ছুটছে তারা। কিন্তু কোথাও আর সদগতি হচ্ছেনা।
দেশে যেভাবে খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে তাতেও কিছুটা শেষ হয়ে যাওয়ার পথে। বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার নেমেছে তলানিতে। এমতাবস্থায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (IMF) বেল আউট প্যাকেজ না পেলে খুবই খারাপ অবস্থা হতে পারে তাদের। এরইমধ্যে খবর আসে পাকিস্তানের জ্যাকপটের।
হ্যাঁ জ্যাকপটই বটে, কিন্তু সেই টাকা মেলা দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তানের জন্য। এদিকে সেই টাকা পেলে খুব সহজেই নিজেদের দুরাবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে তারা। আসলে হয়েছে কি, বিদেশি ঋণদাতা সংস্থাগুলো পাকিস্তানের অনেক অর্থ বাকি রেখে দিয়েছে। সেই অংকটা কম নয়, একেবারে ২৩ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। কিন্তু এই অর্থ পাওয়া খুবই দুষ্কর তাদের জন্য।
আমেরিকার সাথে ক্যারি-লুগার অ্যাক্ট অনুযায়ী ১.৬ বিলিয়ন ডলারের অর্থ সাহায্য পায় পাকিস্তান। যদিও ঢিলেমির কারণে সেই অর্থ পাওয়া সম্ভবপর হয়ে ওঠেনি! আবার অনেক দাতা দেশের সাথে নিজেদের খারাপ সম্পর্ক বানিয়ে নিয়েছে সন্ত্রাসবাদী দেশটি। মোট ৩.৭ বিলিয়ন ডলার এভাবেই বাকি রয়েছে তাদের। সাথে IMF এর কাছেও ১.১ বিলিয়ন ডলারের অর্থসাহায্য চেয়েছে তারা।
পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার ১ বিলিয়ন ডলারের আশপাশে ঝুলছে, সেখানে আফগানিস্তানের কাছেই ১০ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ বাকি রয়েছে। কিন্তু এই বড় অংকের টাকাও তারা পেয়ে যেতে পারতো, যদি না সরকারি অনুমোদনের ধীর প্রক্রিয়া, ঋণ আলোচনায় বিলম্ব, ক্রয়ের বিবরণ চূড়ান্তকারী সংস্থাগুলির মধ্যে সমন্বয়ের অভাব, দীর্ঘ নিলাম প্রক্রিয়ার মত সমস্যা থাকতো সেদেশে।
আবার IMF টাকা না দেওয়ার কারণ পূর্ব ঋণে কথার খেলাপ করা। এর আগে রেকর্ড ২২ বার IMF এর Bail Out প্যাকেজ নিয়েছে তারা। কিন্তু প্রতিবারই কিছুনা কিছু সমস্যা করেছে তারা। এমনকি অর্থ দেশের কাজে লাগানোর জায়গায় নেতা-মন্ত্রী এবং সেনাবাহিনীর পকেটে ঢুকেছে। যদিও বর্তমানে IMF এর কথামতো সমস্ত শর্ত মেনে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়েছে, কিন্তু পুরোনো রেকর্ডের কারণে ঋণ পাওয়া সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া নিজেদেরই বলা কথা না মানার জন্য এমন অবস্থা হয়েছে তাদের।