ধারের টাকা শোধ করে ফের ঢুকিয়ে নিল নিজেদের পকেটে! চীনের সঙ্গে আজব ব্যবহার পাকিস্তানের

আর্থিক সংকটের মুখে থাকা পাকিস্তান (Pakistan) চীনের (China) একটি ব্যাংক থেকে ৫০ কোটি ডলার পেয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে দেশটির অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার এই কথা জানান। এই টাকা চীনের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অফ চায়না কর্তৃক অনুমোদিত ১.৩ বিলিয়ন ডলারের প্রথম ধাপ। বর্তমানে পাকিস্তান চরম নগদ সংকটের সম্মুখীন। দেশটি উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস, দ্রুত প্রসারিত চলতি অ্যাকাউন্ট ঘাটতি এবং মুদ্রার পতনের মতো অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী টুইট করে চীনের কাছ থেকে তহবিল পাওয়ার কথা জানিয়েছেন।

তিনি তার টুইটে লিখেছেন, ‘আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। চীনা ব্যাংক ICBC ১.৩ বিলিয়ন ডলারের একটি রোলওভার অনুমোদন করেছে, যা সাম্প্রতিক মাসগুলিতে পাকিস্তান ICBC কে প্রদান করেছিল।” তিনি বলেন, ‘এই টাকা তিন কিস্তিতে আসবে। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তান ৫০০ মিলিয়ন ডলারের প্রথম কিস্তি পেয়েছে। এতে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়বে।” জিও নিউজ জানিয়েছে, ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩.৮ বিলিয়ন ডলার ছিল, যা আমদানির দৃষ্টিকোণ থেকে এক মাসেরও কম সময়ের জন্য পর্যাপ্ত।

এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে ইসহাক দার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আইসিবিসির সঙ্গে আমাদের সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। আমরা গত কয়েক মাসে তাদের ১.৩ বিলিয়ন ডলার ফেরত দিয়েছি… এবার তারা পুনরায় সেটিকে আমাদের দিচ্ছে, এবং সুবিধাটি সংস্কার করেছে। এটা সম্ভব যে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ৫০০ মিলিয়ন ডলার আসবে এবং ১০ দিনের মধ্যে আরও ৫০০ মিলিয়ন ডলার আসবে।

তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, পাকিস্তান কি দেউলিয়া হওয়ার পথে? ইসহাক দার বলেন, ‘আমরা কখনো খেলাপি করিনি এবং এখনও করব না। হ্যাঁ, আমরা একটি অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে ছিলাম এবং বর্তমানে এটির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।” তিনি বলেন, বর্তমান সরকার গত বছর ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের সময় একটি “নীতিগত সিদ্ধান্ত” নিয়েছিল যে দেশ বা রাজনীতি বাঁচাতে হবে। দার বলেন, সে সময় রাজনৈতিক স্বার্থের চেয়ে দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল, এটা ছিল ‘সঠিক সিদ্ধান্ত’।

➦ আপনার জন্য বিশেষ খবর

Back to top button