‘এই শর্ত মানতে আমাদের বাধ্য করা হচ্ছে!” বলতে গিয়ে চোখে জল কাঙাল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর

ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক সংকট ব্যাধির মতো ছড়িয়ে পড়ছে পাকিস্তানের (Pakistan) অন্দরে। দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। খাদ্যদ্রব্যের দাম গগনচুম্বি হওয়ার কারণে সেদেশের মানুষ রুটি থেকে শুরু করে ভাত ইত্যাদির মতো রোজকার খাবার খাওয়ার জন্যও ত্রাণের আশায় বসে রয়েছে।

এরই মধ্যে IMF এর প্যাকেজ নেওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। শুক্রবার দিন IMF এর তরফে নেওয়া ঋণের শর্ত মেনে নেওয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে নিজের বেদনা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। এতিনি বলেন, আইএমএফের সঙ্গে চুক্তির জন্য পাকিস্তানকে কঠোর শর্ত মানতে বাধ্য করা হচ্ছে ।

fuel pakistan
Fuel crisis in Pakistan

দেশের অন্দরে নিরাপত্তা বৈঠকে বসে শেহবাজ শরীফ বলেন যে, বন্ধু দেশ গুলোও পাকিস্তানকে সমর্থন দেওয়ার আগে IMF এর তরফে চুক্তির অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করছে। যদিও কিছুটা সাহায্যের জন্য চিন এগিয়ে এসেছে। দুঃসময়ে আয়রন ব্রাদার পাকিস্তানকে ৭০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা। পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার একথা জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকে।

তিনি বলেন, চিনের ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের বোর্ড পাকিস্তানকে ৭০০ মিলিয়ন ডলার অনুমোদন করেছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তানের কাছে এই পরিমাণ অর্থ এই আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। এবার অর্থের সমাগম হলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও বাড়বে অনেকখানি।

এর আগে শর্ত না মানায় IMF পাকিস্তানের ঋণ কর্মসূচি বন্ধ করে দেয়। কিন্তু নিজেদের কাঙাল আর্থিক অবস্থার থেকে বেরিয়ে আসার জন্য IMF ছাড়া গতিও নেই সেদেশের। তাই একরকম কড়াকড়ি শুরু হয়েছে দেশের অন্দরে। আসলে IMF এটা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, পাকিস্তান তার শর্ত মেনে না নেওয়া পর্যন্ত ১.৬ বিলিয়ন ডলারের পরবর্তী কিস্তি দেওয়া হবে না।

pak army sharif

পাকিস্তান IMF এর সমস্ত শর্ত মেনে নিলে সেখানে দেশের অন্দরে নানান সমস্যা উদ্ভুত হবে। ২০২৩ সালে পাকিস্তানের বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার একদম তলানিতে পৌঁছেছে। এমনকি গত ১০ ফেব্রুয়ারি সেই অংক কমে দাঁড়ায় ৩.২ বিলিয়ন ডলারে। যা কিনা তিন সপ্তাহের আমদানির জন্য যথেষ্ট। এবার IMF এর তরফে ঋণ না পেলে পাকিস্তানের ভেঙ্গে যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।

➦ আপনার জন্য বিশেষ খবর

Back to top button