টাকা না পেয়ে কড়া সিদ্ধান্ত? সৌদি আরব থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূত ফেরত আনছে পাকিস্তান

ঋণখেলাপির দোরগোড়ায় পৌঁছে যাওয়া ‘পাকিস্তান’ (Pakistan) এবার তাদের বহু পুরনো এবং ঘনিষ্ট ইসলামিক মিত্র সৌদি আরব (Saudi Arabia) থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা ভাবছে। সৌদি আরবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আমির খুররম রাঠোরকে নিয়ে ক্ষুব্ধ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। ইমরান খানের সময় তাকে সৌদি আরবে নিয়োগ করা হয়, কিন্তু এবার তাকে ফিরিয়ে আনার চিন্তা ভাবনায় রয়েছে পাকিস্তান সরকার।

যা খবর আসছে তার পিছনে অনেকাংশে দায়ী সৌদি আরবের লেটেস্ট সিদ্ধান্ত। তারা সুদ ছাড়া ঋণ দিতে অস্বীকার করেছে। রাঠোর এর আগে কানাডায় পাকিস্তানের হাইকমিশন হিসাবে পোস্ট করা হয়েছিল এবং সেখানে মাত্র এক মাস পর তাকে সৌদি আরবের রাজধনী রিয়াধে পোস্টিং করা হয়। জানা যাচ্ছে, রাজনৈতিকভাবে PTI এর সাথে যুক্ত তিনি।

hqdefault

ইমরান খানের অনুগত হওয়ার কারণে তাকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাঠোর এর আগে পিটিআই-এর থিঙ্ক ট্যাঙ্কে কাজ করেছেন। প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পিটিআই-এর ভাইস-চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কুরেশির বেশ ঘনিষ্ঠও ছিলেন তিনি। কয়েক বছর আগে সরকারি চাকরি থেকে ছুটি নিয়ে এক বছরের জন্য পার্টি অফিসে কাজও করেছিলেন। এছাড়া সৌদির ক্রাউন প্রিন্সের সাথে ইমরান খানের আলাপচারিতার পিছনেও তার হাত রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।

যদিও সেই খবর কতটা সত্য এবং সৌদি শাসকের সাথে তার যোগাযোগ পুনঃস্থাপনে রাঠোরের কোনো ভূমিকা ছিল কিনা তা যাচাই করা দেখা হয়নি। কিন্তু একটি কূটনৈতিক সূত্র এই পরামর্শকে প্রত্যাখ্যান করেছে যে, রাঠোর বিরোধী নেতা এবং সৌদির গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যে একজন বার্তাবাহক হিসাবে তার কেরিয়ারকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে যে, তিনি পিটিআই-এর সাথে তার সম্পর্ক ছাড়া অন্য কোনও নির্দিষ্ট কারণ সম্পর্কে অবগত নন।

fznvrqeveaauubq

উল্লেখ্য, জানিয়ে রাখি যে রাঠোর হলেন রিয়াধে নিজুক্ত তৃতীয় রাষ্ট্রদূত যাকে অকালেই প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর আগে তার পূর্বসূরি লেফটেন্যান্ট জেনারেল বিলালেরও একই অবস্থা হয়।এবং তার পূর্বসূরি রাজা আলী এজাজও তাই করেছিলেন, যাকে তার অবসরের কয়েক সপ্তাহ আগেই বরখাস্ত করা হয়। পাকিস্তানে এটি একটি রেওয়াজে পরিণত হয়েছে।

➦ আপনার জন্য বিশেষ খবর

Back to top button