ভারতের একমাত্র বোর্ডিং স্কুল, যেখানে ফি নেওয়া হয় না! উল্টে পড়ুয়াদের দেওয়া হয় ৬ লাখ টাকা

ভারতের অনেক জায়গাতেই বিনামূল্যে শিক্ষার ব্যবস্থা আছে। কিন্তু আজকে আমরা এমন একটি স্কুলের কথা বলতে যাচ্ছি, যেটি অনেক রকমের বিনামূল্যের সুবিধায় পরিপূর্ণ। এখানে অধ্যয়নরত প্রতিটি শিশু সত্যিই ভাগ্যবান। এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনো ফি নেওয়া হয় না। ৬ বছর পর্যন্ত শিক্ষার্থীর জন্য খাবার, বাসস্থান থেকে শুরু করে সমস্ত সুবিধা বিনামূল্যে। যারা তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী তাদের পড়াশোনা শেষ করে, তাদের ১ থেকে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত একটি পরিমাণও দেওয়া হয়।

দৈনিক ভাস্করের রিপোর্ট অনুযায়ী, স্কুলের নাম ‘শ্রীমদ যশোবিজয়জি জৈন সংস্কৃত পাঠশালা’। এটি গুজরাটের মেহসানায় অবস্থিত একটি ১২৫ বছরের পুরনো সংগঠন। এই বিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্র ছিলেন যোগনিষ্ঠ শ্রীবুদ্ধিসাগর সুরীশ্বরজী মহারাজ। ১৮৯৭ সালের অক্টোবর মাসে তিনি এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। এখন পর্যন্ত ২৮৫০ জন শিক্ষার্থী এখানে পড়াশোনা করেছে।

এখানকার পড়ুয়ারা গুজরাটের পাশাপাশি তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও মহারাষ্ট্রে বসতি স্থাপন করেছে। ইনস্টিটিউটের প্রকাশভাই পণ্ডিত জানান, প্রতি বছর ৩০ জন শিক্ষার্থী স্কুলে ভর্তি হয়। শিক্ষার্থী, তাদের অভিভাবক বা আত্মীয়দের কাছ থেকে কোনো ফি নেওয়া হয় না। শিক্ষার সময়, প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার্থীদের প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা প্রদান করে। যারা ৪ বছরে শিক্ষা শেষ করেছে তাদের জন্য ১ লাখ এবং যারা ৬ বছরে শিক্ষা পূর্ণ করেছে তাদের ২ লাখ টাকা দেওয়া হয়।

আইন এবং ব্যাকরণ সহ বিশেষ কোর্স সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীদের ৩ লাখ টাকা দেওয়া হয়। অনেক শিক্ষার্থীকে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের সব ধরনের জ্ঞান অর্জনের জন্য রয়েছে ১২ হাজার বইয়ের একটি লাইব্রেরি। বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি ইংরেজি, কম্পিউটার ও গানের জ্ঞানও দেওয়া হয়। এখানকার শিক্ষার্থীরা দেশের অন্যান্য স্কুলের মতো সিলেবাসে পড়তে পারে। যে কেউ পড়াশোনার জন্য এখানে পৌঁছাতে পারেন।

333261309 8986304628107142 1741508404225291075 n

১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি নতুন জৈন সংস্কৃত স্কুল তৈরির কাজ চলছে। এটি মেহসানা-আমেদাবাদ হাইওয়ের লিঞ্চ গ্রামের কাছে তৈরি করা হবে। এই স্কুলে ১০০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে ভর্তি করা যাবে। এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য সেরা বই এবং সরঞ্জাম পাওয়া যাবে। নতুন ক্যাম্পাসে স্কুল ভবনের পাশাপাশি হোস্টেল ও ক্যান্টিনের সুবিধা থাকবে। চত্বরেই তৈরি হবে জৈন মন্দির। ঋষিদের জন্য আলাদা হোস্টেল নির্মাণ করা হবে।

➦ আপনার জন্য বিশেষ খবর

Back to top button