কপাল হয়তো একেই বলে। ৭৭ বছর বয়সে লটারি (Lottery) কেটে, কোনওরকম কিছুর আশা না করেই একপ্রকার কপাল খুলে গেল এক বৃদ্ধের। ওই বৃদ্ধের গল্প শুনে গোটা বিশ্ব তাজ্জব হয়ে গিয়েছে একপ্রকার। অনেকেই আছেন যারা পরিশ্রম করে টাকা উপার্জন করতে ভালোবাসেন। কিন্তু আবার অনেকেই আছেন যারা সহজ উপায়ে অর্থাৎ লটারির টিকিট কেটে অল্প সময়ের মধ্যে ‘বড়লোক’ হতে চান। অনেকেরই আছে যার একবার লটারি কেটেই ভাগ্যবান হয়ে যান, পেয়ে যান হাজার হাজার, লাখ লাখ টাকা। আবার কখনও ভাগ্যবান হলে মেলে কোটি টাকার জ্যাকপট। কিন্তু অনেকের কপাল এতটাই খারাপ হয় যে বছরের পর বছর ধরে টিকিট কেটেও ৫ হাজার টাকা অবধি জিততে পারেন না। ফলে অনেকেই আছেন যারা হতাশায় ভুগতে থাকেন এবং লটারি কাটা থেকে বিরত থাকতে ভালোবাসেন।
কিন্তু ৭৭ বছর বয়সী বৃদ্ধ ওয়াল্ডেমারের জীবনের সংজ্ঞাটা খানিকটা অন্যরকম। তিনি এই বয়সেও অ্যাডভেঞ্চার করতে ভালোবাসেন। নতুন নতুন কিছু শিখতে ভালোবাসেন। এদিকে নতুন কিছুর নেশায় তিনি সম্প্রতি লটারির টিকিট কেটে ফেলেন। তবে তিনি হয়তো কল্পনাও করতে পারেননি যে তাঁর এই কাজ তাঁর ভাগ্যটাই সারাজীবনের জন্যে বদলে দিতে পারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোর এই ব্যক্তি ৫০ লাখ ডলারেরও বেশি মূল্যের লটারি পুরস্কার জিতেছেন। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি। আর অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তির এহেন টাকা জেতা মোটেই সহজ নয়। সৌভাগ্যবান বিজেতা হিসাবে ভারতীয় মুদ্রায় ৪২ কোটি টাকা পেয়েছেন তিনি। এদিকে জয়ের আনন্দে তিনি নিজের জন্য তরমুজ আর স্ত্রীর জন্য ফুল কিনে অবধি নিয়ে গিয়েছেন।
কলোরাডো লটারির পক্ষ থেকে বুধবার প্রকাশিত এক অফিসিয়াল বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মন্ট্রোজের বাসিন্দা ৭৭ বছর বয়সী ওয়াল্ডেমার “বাড” টি ৫,০৬৭,০৪১ মার্কিন ডলারমূল্যের কলোরাডো লোটো+ জ্যাকপটের ভাগ্যবান বিজয়ী। ৭৭ বছর বয়সেও, বাড দুঃসাহসিক ক্রিয়াকলাপে জড়িত হতে পছন্দ করেন। বাড সাইকেল চালাতে, হাঁটতে, রক ক্লাইম্বিং করতে এবং টেনিস খেলতে ভালবাসেন। তিনি এবং তার স্ত্রী প্রতি বছর অ্যারিজোনায় ছয় মাস এবং কলোরাডোতে ছয় মাস কাটান। এত টাকা নিয়ে কী করবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে ওয়াল্ডেমার জানান, প্রাপ্ত সম্পদের একটি অংশ দাতব্য উদ্দেশ্যে বরাদ্দ করার পরিকল্পনা করেছেন।