কাজের চাপে সকলেই একটা সময় গিয়ে হাঁপিয়ে ওঠেন। তখন সকলেই একটু শান্তির খোঁজ করেন। অনেকের কাছেই এই তথাকথিত শান্তির ডেফিনেশন একটু আলাদা কেউ চান শান্তিতে পরিবারের সঙ্গে একটু সময় কাটাতে আবার অনেকেই চান একটু শান্তির খোঁজে কোথাও ঘুরে আসতে। বেশিরভাগ মানুষই আছেন যারা ঘুরতে যেতে ভালোবাসেন।
অনেকের কাছে ঘুরতে যাওয়া মানেই হলো পাহাড় (Hill) কারণ যে একবার পাহাড় ঘুরে আসবে তাকে বারবারই পাহাড় হাতছানি দিয়ে ডাকবে নিজের কাছে। হাতে দুই থেকে তিন দিনের ছুটি নিয়ে অনেকেই ঘুরতে চলে যান দার্জিলিং (Darjeeling), কালিম্পং (Kalimpong) নয়তো সিকিম (Sikkim)। তবে ঘুরতে গেলেই তো হয় না মাথায় সেই সঙ্গে রাখতে হয় বাজেটের বিষয়টিও। অনেকেই আছেন যারা পাহাড়ি ঘুরতে গিয়ে একটু অফবিট ডেস্টিনেশন-এর খোঁজ করেন। আজ এই প্রতিবেদনটি রইল শুধুমাত্র তাদেরই জন্য।
শহরের কোলাহল ছেড়ে আপনিও কি কয়েকদিন ঠান্ডা পরিবেশের মধ্যে কয়েকটা দিন কাটিয়ে আসতে চান? তাহলে আপনিও ঘুরে আসতে পারেন একটি অদ্ভুত সুন্দর জায়গা তোরিয়ক (Toryok) থেকে। এই জায়গাটা ঠিক আপনি একবার ঘুরে এলে আপনার মন শরীর দুটোই জড়িয়ে যাবে। এখান থেকেই আপনি সুদ দৃশ্য কাঞ্চনজঙ্ঘা রেঞ্জ দেখতে পারবেন। সেই সঙ্গে মেঘেদের খেলা, হালকা ঠান্ডা আবহাওয়া আপনার ভালো লাগার একটি অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠবে। এখানকার মূল ইউএসপি হল সারি সারি পাইন বন।
এই জায়গাটিকে একবার কেউ গেলে সেই সুইজারল্যান্ডের দৃশ্যও ভুলে যাবে। এই জায়গাটি সিটং থেকে খুবই কাছে। বলা ভালো এই জায়গাটি একটি অংশের কথা মাথায় এলেই সকলের প্রথমেই কমলালেবুর কথা। জায়গাটি অনেকের কাছেই ফেভারিট ডেস্টিনেশন হয়ে উঠেছে।
শিলিগুড়ি থেকে মাত্র ৬৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই তোরিয়ক। আপনি এখানে এনজিপি থেকেও গাড়ি নিয়ে আসতে পারেন। তবে এখানে কিন্তু শেয়ার গাড়ি পাবেন না। আপনাকে প্রথমে শেয়ার গাড়িতে করে আসতে হবে দিলারাম। তারপর সেখান থেকে আপনি অন্য আরেকটি গাড়ি করে এই তোরিয়কে আসতে পারবেন। এখান থেকে আপনি নামথিং পোখরি, বাগোরা, মংপু, চিমনি সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় ঘুরে আসতে পারবেন ।