পুজোর আগে বিরাট চমক, পর্যটকদের জন্য ডুয়ার্সে এবার বিশেষ আকর্ষণ! গেলেই হয়ে যাবে মন খুশ

টয় ট্রেন (Toy Train)…নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে এক মন ভালো করা কিছু দৃশ্য। দার্জিলিং (Darjeeling), কালিম্পং, কার্শিয়াং-এর বুক চিড়ে ধোঁয়া তুলে ছুটে চলে টয় ট্রেন। উত্তরবঙ্গ (North Bengal) ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের কাছে এই টয় ট্রেনের জনপ্রিয়তা আলাদাই রয়েছে। অনেক পর্যটকই এমন আছেন যারা বাস বা গাড়ি ভাড়া না করে এই টয় ট্রেনে করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভ্রমণ করে দার্জিলিং-এ পৌঁছাতে ভালোবাসেন। তবে আপনাকে যদি বলা হয় এবার ডুয়ার্স (Dooars) ঘুরতে যাওয়া পর্যটকরাও এবার এই টয় ট্রেনের আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন তাহলে কেমন হয়?

কোথায় কীভাবে ঘুরবেন ভাবছেন নিশ্চয়ই? তাহলে অবিশ্যই পড়ে ফেলুন এই প্রতিবেদনটি। আসলে পর্যটকদের আকর্ষণ করতে দারুণ সুযোগ দিচ্ছে বন দফতর। সামনেই দুর্গাপুজো। এমনিতেই বর্ষা ছাড়া সবসময়েই পাহাড়ের (Hill) মনোরম আবহাওয়া, দৃশ্য উপভোগ করতে সেখানে পাড়ি দেন পর্যটকরা। এদিকে সামনেই দুর্গাপুজো।

আর এই দুর্গাপুজো আসা মানেই বহু মানুষ নতুন করে পাহাড়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। ইতিমধ্যে টিকিট কাটার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। অনেক জায়গাতেই অমিল টিকিট। ইতিমধ্যে বহু বাঙালি দার্জিলিং, সিকিম, ডুয়ার্স যাওয়ার জন্য প্ল্যান করে ফেলেছেন।  এদিকে যারা ডুয়ার্স ঘুরতে যাচ্ছেন তাঁদের জন্য দারুণ সুযোগ রয়েছে। অনায়াসেই এবার তাঁরা টয় ট্রেনের আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন। জানা গিয়েছে, দফতরের পার্ক ও উদ্যানপালন বিভাগের তরফ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ডুয়ার্সের মালবাজারের পরিমল মিত্র উদ্যানের তরফে। এই পরিমল মিত্র পার্ক সকলের কাছে বেশি মালবাজার পার্ক নামেই পরিচিত। তবে এই ট্রেনের জন্য কোনও ট্র্যাক থাকবে না। এটি ট্র্যাকলেস টয়ট্রেন। ডুয়ার্সের বিশেষ পাহাড়ি লঙ্কার চাটনি সহ সুস্বাদু মোমো, থুকপা, চাউমিন সঙ্গে ডুয়ার্সের বিখ্যাত চা খেতে খেতে আপনি খুব ভালোভাবেই এই টয় ট্রেনের আনন্দ নিতে পারবেন। এছাড়া এখানে স্থানীয়দের হাতে তৈরি বাঁশ, বেত, শুকনো কাঠ দিয়ে নির্মিত গৃহসজ্জার নানান উপকরণ পর্যটকরা কিনতে পারবেন।