একের পর এক পালক জুড়েই চলেছে রতন টাটার (Ratan Tata) মুকুটে। একের পর এক ব্যবসায় বিনিয়োগ করে সকলকে চমকে দিচ্ছে টাটা গ্রুপ (Tata Group)। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটল না। বৈদ্যুতিক গাড়ির (Electric Vehicle) ব্যাটারি তৈরির জন্য ৪ বিলিয়ন পাউন্ড (প্রায় ৪২,৫০০ কোটি টাকা) বিনিয়োগে ব্রিটেনে একটি গ্লোবাল গিগাফ্যাক্টরি স্থাপনের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে টাটা গ্রুপ। টাটা গ্রুপটি বলেছে যে এই গিগাফ্যাক্টরির উদ্দেশ্য অটোমোবাইল শিল্পকে বৈদ্যুতিক শিল্পে রূপান্তর করতে সহায়তা করা। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক (Rishi Sunak) টাটার এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং এটিকে যুক্তরাজ্যের মোটরগাড়ি শিল্পের জন্য একটি “গর্বিত” মুহূর্ত হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর ফলে ব্রিটেনে হাজার হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। জানা গিয়েছে, রতন টাটার টাটা গ্রুপ গত বৃহস্পতিবার জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার এবং অন্যান্য গাড়ি প্রস্তুতকারীদের জন্য ব্যাটারি তৈরি করার লক্ষ্যে ৪ বিলিয়ন পাউন্ড (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪২,৫০০ কোটি টাকা) বিনিয়োগের মাধ্যমে একটি কারখানা স্থাপনের ঘোষণা করেছে।
একটি বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি কারখানায় ৪ বিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগের টাটা গ্রুপের উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা যুক্তরাজ্যের অটোমোটিভ শিল্পে সর্বকালের বৃহত্তম বিনিয়োগগুলির মধ্যে একটি হবে। এছাড়াও, এটি ভারতের বাইরে টাটার প্রথম গিগাফ্যাক্টরি হবে। গিগাফ্যাক্টরিটি যুক্তরাজ্যের সমরসেট এলাকায় স্থাপন করা হবে এবং এই অঞ্চলে ৪,০০০ নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। একই সময়ে, এটি অটোমোটিভ শিল্পের সরবরাহ শৃঙ্খলে হাজার হাজার কর্মসংস্থান তৈরি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। টাটা গ্রুপের মতে, ২০২৬ সাল থেকে এই কারখানায় উৎপাদন শুরু হবে।
এদিকে বিনিয়োগের ঘোষণার পরে টাটা সন্স চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন যুক্তরাজ্যের ওয়ারউইকশায়ারের ‘জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার গেডন সেন্টারে’ ঋষি সুনাকের সাথে দেখা করেন। টাটা সন্স-এর চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন বলেন, “আমাদের বিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগ দেশে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে আসবে, যা অটোমোটিভ সেক্টরকে বৈদ্যুতিক গতিশীলতায় রূপান্তর করতে সহায়তা করবে। এই কারখানায় জেএলআর-এর পাশাপাশি অন্যান্য যানবাহনের জন্য ব্যাটারি তৈরি করা হবে। টাটা গ্রুপ ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি সংস্থার মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের প্রযুক্তি, ভোক্তা, আতিথেয়তা, ইস্পাত, রাসায়নিক এবং অটোমোটিভ শিল্পে বিনিয়োগ করেছে। এই কৌশলগত বিনিয়োগের মাধ্যমে টাটা গ্রুপ যুক্তরাজ্যের প্রতি তার অঙ্গীকারকে আরও জোরদার করেছে। “