চিনকে ভাতে মারার প্রস্তুতি, এবার একযোগে আসরে নামল টাটা, আম্বানি! চমক দেখাচ্ছে ভারত

ধীরে ধীরে আত্মনির্ভর হচ্ছে ভারত (India)। বিশেষ করে ভবিষ্যতের উপযোগী কয়েকটি ক্ষেত্রে দারুণ কাজ চলছে। কিন্তু এক্ষুণি ভারত থেকে চিনের (China) দাপট শেষ হয়ে গিয়েছে বললে খুবই ভুল বলা হয়। বিশেষ করে সোলার এনার্জি (Solar Energy) অর্থাৎ সৌর শক্তি খাতে চিনা দাপট এখনো অব্যাহত। এবার সেখানেই চিনকে ভাতে মারতে এগিয়ে এক মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) রিলায়েন্স এবং রতন টাটার (Ratan Tata) টাটা গ্রুপ (Tata Group)।
কেন্দ্র সরকার সম্প্রতি ২.৪ বিলিয়ন ডলারের ফিন্যান্সিয়াল ইন্সেনটিভ প্ল্যানের ঘোষণা করে। আর সেখানেই এই দুই সংস্থা আগ্রহ দেখিয়েছে। এটা না মেনে উপায় নেই যে, দেশের অন্দরে সোলার মডিউলের ক্ষেত্রে এখনো চিনের দাপট রয়েছে। জানলে অবাক হবেন যে, এই খাতে ভারতের ৭০% বাজার রয়েছে চিনা কোম্পানিগুলোর হাতে
কিন্তু চিনের এই অংশে ভাগ বসাতে তৈরী হচ্ছে টাটা এবং রিলায়েন্স। এছাড়া তাদের সাথে নিলামে আসতে পারে জেএসডব্লিউ এনার্জি, আভাদা গ্রুপ এবং রিনিউ এনার্জি গ্লোবাল ও ফার্স্ট সোলারের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থা। কিন্তু কোনো এক কারণে দেশের অন্দরে শীর্ষস্থানীয় সোলার প্যানেল প্রস্তুতকারক গৌতম আদানির (Gautam Adani) সংস্থা এই স্কিম থেকে নিজেদের দূরে রাখছে।
বর্তমানের ক্লিন এবং গ্রিন এনার্জির বাজার বাড়তে থাকায় এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা থাকছে। বিশেষ করে চিন থেকে আমদানি কমানোর জন্য মোট ১৯,৫০০ কোটি টাকার আর্থিক সাহায্য দেওয়া হচ্ছে। একইসাথে উৎপাদন খাতেও রপ্তানি বাড়াতে চাইছে সরকার। সেজন্যই এমন পদক্ষেপ বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
তাছাড়া সারাবিশ্ব কোভিড থেকে মুক্তি পেলেও করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চিনে কিন্তু এখনো ভাইরাসের প্রভাব রয়েছে। আর তার ফলে সাপ্লাই চেনে বেশ বড় ধাক্কা আসে। এই সমস্ত সমস্যা কাটিয়ে নিজেদের মার্কেট গড়ে তুলতে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে মোদী সরকার।
আপনাদের জানিয়ে রাখি যে, কেন্দ্র সরকার বর্তমানে মডিউল তৈরীর ক্ষমতা বাড়িয়ে ৯০ গিগাওয়াটে উন্নীত করতে চলেছে। এই মডিউল দেশের অন্দরে ভালভাবে কাজ করলে বিদেশে রপ্তানি করাও সম্ভব হবে। তাই সব ভেবে শুনে দেখে চিন্তেই নামছে সরকার।