এক ঝটকায় ৪৪ টাকা দাম বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের! ভারতকে দুষছে বাংলাদেশ

রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের আবহ থেকেই শুরু হয় জ্বালানি রেলের আকাশছোঁয়া দাম। যুদ্ধ শুরু হতেই সেই দাম আরো তরতরিয়ে বেড়ে যায়। আর এই কারণে সারা বিশ্বেই দেখা যায় মুদ্রাস্ফীতি। অনেক দেশই কাঙাল হওয়ার পথে। সবচেয়ে ভালো উদাহরন শ্রীলংকা। পাকিস্তানের অবস্থাও একই। এরপর বাংলাদেশও একই পথে হেঁটে রাতারাতি ৫২ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম।
ভারতীয় উপমহাদেশের অবস্থা হয়েছে খুবই খারাপ। ভারত বাদে চারিপাশের সমস্ত দেশগুলিতেই দেখা দিয়েছে দারুণ অর্থ সংকট। শ্রীলংকা, পাকিস্তানের পর এবার বাংলাদেশ। সেখানে বর্তমানে ডিজেল ও পেট্রোলের দামে বিরাট পরিবর্তন এনে ৮০ টাকা থেকে প্রায় ৪২ শতাংশ বাড়িয়ে ১১৪ টাকা করা হয়েছে।
বেড়েছে পেট্রোলের দামও। আগে যেখানে লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম ছিল ৮৬ টাকা, এখন সেইজন্য দিতে হবে ১৩০ টাকা। এছাড়া অকটেনের ক্ষেত্রেও ৮৯ থেকে ৫০ শতাংশেরও বেশি দাম বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ১৩৫ টাকায়। এই নতুন জ্বালানি মূল্য লাগু হয়েছে গত শুক্রবার রাত্রি ১২ টার পর থেকে।
আসলে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বিপুল বাড়ায় সমস্ত দেশই নিজেদের দেশে তেলের দাম বাড়িয়েছে বহুলাংশে। বাংলাদেশের সরকারী রেকর্ড থেকে জানা যাচ্ছে যে, গত ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত তেলের দাম বাড়ায় সেদেশের সরকারের ৮০১৪.৫১ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।
এছাড়া জানা যাচ্ছে যে, ভারতে যাতে তেল পাচার না হয় সেজন্যও এই মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে। এর আগে নাকি বহু জ্বালানি তেল বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে ভারতে এসে পৌঁছেছে। আসলে বাংলাদেশে সরকার এই মূল্যবৃদ্ধির কিছুটা দায় ভারতের দিকে ঠেলতে চাইছে।
দেশটির বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন “অনেকটা নিরুপায় হয়েই কিছুটা অ্যাডজাস্টমেন্টে যেতে হচ্ছে।” তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার নাকি সেই আগের দামেই পাওয়া যাবে তেল। তবে রাতারাতি এত পরিমাণ মূল্যবৃদ্ধি হওয়ায় দেশের উপভোক্তাদের উপর ভয়াবহ দুর্দশা নেমে আসতে চলেছে।