বাড়িতে এই বৃষ্টিতে টিকছে না মন? ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছা করছে? তাও আবার সমুদ্রে? কিন্তু কোথায় যাবেন বুঝে উঠতে পারছেন না? তাহলে আপনার মুশকিল আসান হতে চলেছে। এই বর্ষার মরসুমে বাড়িতে কারোর মন টিকতে চাইছে না। অন্যদিকে বাইরে গেলেও বৃষ্টিতে ভিজতে হচ্ছে। এহেন অবস্থায় আপনারও মন কোনও সি বিচ বা পাহাড়ে চলে যাচ্ছে নিশ্চয়ই। ভাবছেন ইসস যদি একটু নিরিবিলিতে কোনও সি বিচে ঘুরে আসা যেত, বা একটু জলে পা ভিজিয়ে নেওয়া যেত, তাহলে কতই না ভালো হত? এদিকে দিঘা (Digha), পুরীতে (Puri) মানুষের যে হারে ভিড় উপচে পড়ছে তা দেখে ভয় পাচ্ছেন অনেকেই।
এখন তো ফাঁকা সি বিচ খুঁজে পাওয়াই দুষ্কর হয়ে উঠেছে। কিন্তু না, আজ আপনি এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে এই দুর্দান্ত সমুদ্র সৈকতের খোঁজ পাবেন। যেখানে আপনি কিছু সামান্য খরচে এবং বাড়ির খুব কাছ থেকেই একদিন বা দুদিনের ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন। এই ওয়েদারে একটি আরাম পেতে আপনিও ঘুরে আসতে পারেন কলকাতা থেকে ১৩০ কিমি দূরত্বে থাকা লালগঞ্জ সমুদ্র সৈকত থেকে।
বলা হয়, এখানে আপনি যদি বর্ষায় যান তাহলে খুব সুন্দর মনোরম পরিবেশ দেখতে পারবেন। বৃষ্টির মধ্যেও অপরূপ সুন্দর হয়ে ওঠে এই জায়গা। এখানে এলে কিন্তু গরম গরম মাছ ভাজা খেতে কিন্তু একদমই ভুলবেন না।
কলকাতা থেকে এই বিচটির দূরত্ব হল মাত্র ১৩০ কিমি। আপনার কাছে যদি নিজস্ব গাড়ি থাকে তাহলে তো সোনায় সোহাগা। তবে আপনার কাছে যদি গাড়ি না থাকে তাহলেও সমস্যা নেই, ট্রেনে করেও আপনি চলে আসতে পারেন এই লালগঞ্জে। আপনাকে হাতানিয়া-দোয়ানিয়া পেরিয়ে যেতে হবে এই লালগঞ্জে। শিয়ালদহ থেকে আপনাকে প্রথমে ট্রেনে করে নামখানা আসতে হবে, তারপর সেখান থেকে টোটো বা অটোতে করে পৌঁছে যান লালগঞ্জ।
আপনি জানলে হয়তো অবাক হবেন, এই লালগঞ্জের খুব কাছেই অবস্থিত বকখালি। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন যে এখানে কীভাবে থাকবেন? তাহলে আপনাদের জানিয়ে রাখা ভালো, এখানে আপনি ক্যাম্পে থাকতে পারেন। এই টেন্টে বসেই আপনি সমুদ্রের আওয়াজ শুনতে পারবেন এবং এই টেন্টে থেকেই আপনি একদম চোখের সামনে থেকে সমুদ্র দেখতে পারবেন। এই টেন্টগুলির ভাড়া ওই ১৩০০ থেকে ১৫০০-র মধ্যে হয়।