এখন অবধি ডিএ বা মহার্ঘ্য ভাতা (Dearness allowance) মেলেনি। আর এই নিয়ে বিতর্ক যেন থামতে চাইছে না। সেই সঙ্গে যত সময় গেছে তত যেন খুব বাড়ছে সরকারি কর্মীদের মধ্যে বিশেষ করে ক্ষোভে ফুঁসছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তবে এরই মাঝে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) এমন এক ঘোষণা করেছেন যে শুনে হয়তো আপনিও খুশিতে লাফিয়ে উঠবেন। বিশেষ করে আপনিও যদি শিক্ষক (Teacher) হয়ে থাকেন তাহলর মুখ্যমন্ত্রীর এক ঘোষণার কারণে আপনার মুখেও হাসি ফুটবে। আপনিও যদি বিহারের বাসিন্দা হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য রইল বড় খবর। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার দীপাবলির আগে সরকারি শিক্ষকদের বড় উপহার দিতে চলেছেন।
DA না দিলেও এবার বিহার সরকার এখন স্কুলের কাছাকাছি বিহারের শিক্ষকদের সরকারি আবাসনের সুবিধা দিতে চলেছে। এর ফলে বিহার হবে দেশের প্রথম রাজ্য যেখানে শিক্ষকরা এখন সরকারি আবাসন পাবেন। এর জন্য বিহার শিক্ষা বিভাগ রাজ্যের জেলা, ব্লক এবং পঞ্চায়েত সদরে শিক্ষকদের জন্য ব্যক্তিগত বাড়ি ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চিঠিতে শিক্ষা দফতরের ডিরেক্টরের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, শিক্ষা দফতর প্রতি বছর শিক্ষকদের বেতন বাবদ প্রায় ৩৩,০০০ কোটি টাকা খরচ করে। বেতনের পাশাপাশি আবাসন ভাতা বাবদ শিক্ষকদের প্রায় ৮ শতাংশ অর্থাৎ ২৫০০ কোটি টাকা দিতে হয়। এখন ভাতার পরিবর্তে বসবাসের জন্য একটি সরকারি ফ্ল্যাট দেওয়া হবে। গ্রামাঞ্চলে অ্যাপার্টমেন্ট ও বাড়িতে দীর্ঘমেয়াদি ফ্ল্যাট নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা বিভাগ।
এ জন্য জেলা সদর, মহকুমা, ব্লক, পঞ্চায়েত সদর স্তরের শিক্ষকদের কাছের স্কুলের আশেপাশে থাকার ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা দফতর। যাদের বহুতল বাড়ি আছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি ইতিমধ্যে প্রকাশ করেছে শিক্ষা বিভাগ। এই বিজ্ঞপ্তিতে জেলা, ব্লক ও গ্রামে ভাড়া আবাসনের ব্যবস্থা করার জন্য আবেদন চাওয়া হয়েছে। শিক্ষা বিভাগ ইতিমধ্যে নির্মিত বাড়িটি ভাড়া নিতে পারে। বাড়িওয়ালা বা রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এর জন্য আবেদন করার জন্য শিক্ষা বিভাগে একটি বিভাগীয় ওয়েবসাইটও প্রকাশ করা হয়েছে।
যেখানে ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর বিকাল ৫টার মধ্যে প্রস্তাব জমা দেওয়া যাবে। ৮ নভেম্বর দুপুর ১২টায় পাটনায় একটি বৈঠকও ডাকা হয়েছে। যেখানে আবাসন সম্পর্কিত আরও ভাল ব্যবস্থা সম্পর্কে পরামর্শ এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে।