সামনেই দুর্গাপুজো। আর এই দুর্গাপুজোর আগেই বড় সিদ্ধান্তের পথে হাঁটল পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government Of West Bengal)। যার জেরে সরকারী কর্মীদের (Employee) মুখে চওড়া হাসি ফুটতে চলেছে। একপ্রকার বলতে গেলে এই ঘোষণার অপেক্ষা রাজ্য সরকারী কর্মীরা বহুদিন ধরেই করছিলেন। তবে অবশেষে সকল অপেক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে বৈকি। পুজোর আগে এটা রাজ্য সরকারের বড় সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
আর এই বিশেষ ঘোষণা এমন সময়ে করা হয়েছে যখন রাজ্য সরকার এবং রাষ্ট্রীয় সাহায্যপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলির কর্মচারীদের একটি অংশ যথাযথ মহার্ঘ ভাতার (Dearness allowance) দাবিতে আন্দোলন করছে। আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে রাজ্য সরকার তথা নবান্নের তরফে কি এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যা শুনে খুশিতে লাফাতে পারেন সরকারী কর্মীরা।
তাহলে আপনাদের জানিয়ে রাখি, পুজোর আগে একাধিক সরকারী কর্মীর পদন্নোতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আর পদন্নোতি মানেই হল বাড়তি মাইনে। জানা গিয়েছে, দুর্গাপুজোর ঠিক আগে নবান্নের পক্ষ থেকে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আর এই কমিটির লক্ষ্যই হল সরকারী কর্মচারীদের পদোন্নতির বিষয়টি নিয়ে দেখভাল করা। এই মর্মে সম্প্রতি রাজ্য সরকারের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই কমিটির কথা সকলকে অবগত করা হয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য সরকারের এহেন সিদ্ধান্তে খুশিতে আত্মহারা সরকারী কর্মীরা।
জানা গিয়েছে এই বিশেষ কমিটিতে থাকবেন ১০ জন প্রতিনিধি। রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে এই কমিটির চেয়ারপার্সন করা হয়েছে। এছাড়া রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এই কমিটির সহ-সভাপতি। কমিটিতে এই দুই মন্ত্রী ছাড়া বাকি আট জন রাজ্যের উচ্চপদস্থ আধিকারিক রয়েছেন। এছাড়াও এই কমিটিতে সামিল করানো হয়েছে সরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের তিন জন প্রতিনিধিকেও।
বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে। নবান্ন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে মোট ৩১৬টি নতুন পদ সৃষ্টির অনুমোদন দিয়েও ফেলেছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। নবান্ন সূত্রে খবর, অতিরিক্ত সচিব থেকে সেকশন অফিসার পর্যায়ে এই নতুন পদগুলি তৈরি করা হবে। মূলত সচিবালয়, ডিরেক্টরেট এবং আঞ্চলিক অফিসের কর্মীদের পদোন্নতি করা হবে। কর্মচারীরা এই সংক্রান্ত অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কর্মী ইউনিয়ন মারফত সরকারের কাছে পাঠাচ্ছিলেন। এবার মনে হচ্ছে, অবশেষে সকলের প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে।