সাপ, ব্যাং, টিকটিকি নয়, এবার স্কুল পড়ুয়াদের পাতে উঠল রূপোলী শস্য ইলিশ (Ilish)। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন আপনি। আর এই কাণ্ড ঘটেছে ফলতা অবৈতনিক প্রাইমারি স্কুলে। যা নিয়ে এখন সর্বত্র তুমুল চর্চা হচ্ছে। মিড ডে মিল (Pradhan Mantri Poshan Shakti Nirman) বলতে আমরা বুঝি ভাত, ডিম (EGG), সোয়াবিন (Soybean meal), ডাল। পড়ুয়াদের কপাল খুব ভালো থাকলে মাঝে মধ্যে পাতে পড়ে চিকেনও (Chicken)।
আর কপাল খুব বাজে হলে খাবারের মধ্যে মেলে মরা সাপ, বিছে, টিকটিকি। কিন্তু ফলতা অবৈতনিক প্রাইমারি স্কুলের পড়ুয়াদের এবার খাবারের পাতে পড়ল ইলিশ মাছের টুকরো। যা দেখে বেজায় খুশি পড়ুয়া থেকে শুরু করে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। কেউ হয়তো ভাবতেও পারেনি যে মিড ডে মিলের (Mid Day Meal Scheme) খাবারে ইলিশ মাছ পড়বে পড়ুয়াদের পাতে।
স্থানীয় ও স্কুল সূত্রে খবর, রাজ্য সরকারের নির্ধারিত মেনুর বাইরে গিয়ে ফলতা অবৈতনিক প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক কিছু পরিবর্তন ঘটান। তিনি প্রায়শই স্কুলের পড়ুয়াদের কল্যাণের কথা মাথায় রেখে কিছু সুস্বাদু ও জিভে জল আনা খাবারের বন্দোবস্ত করে থাকেন।
পড়ুয়াদের পাতে কখনও ফ্রাইড রাইস ও চিলি চিকেন, কখনও বিরিয়ানিও দিয়েছেন হেড মাস্টার। যদিও এবারে আরও এক কদম আগে এগিয়ে গেলেন প্রধান শিক্ষক। বর্ষার মরসুমে সকলে যখন ইলিশ মাছের স্বাদ নিতে ব্যস্ত তখন পড়ুয়ারাও এই সুখ থেকে বঞ্চিত হল না। এই স্কুলের মধ্যাহ্নভোজন বা মিড ডে মিল যাই বলুন, গঙ্গার ইলিশ দেওয়া হল। এরকমটাও যে হতে পারে তা কেউ কল্পনাও করেনি।
শুধু ইলিশ বললে ভুল হবে, ছিল চিংড়ি (Prawn) মাছও। একপ্রকার মিড ডে মিল যেন হয়ে উঠেছিল বিয়ে বাড়ির ভোজ। ছোট ছোট পড়ুয়াদের গলায় যাতে কাঁটা না ঢুকে যায় তার জন্য ছিল বাগদা চিংড়ি। এই বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক তিলক নস্কর বলেন, ‘ইলিশ মাছে কাঁটা বেশি। বাচ্চাদের বেছে খেতে অসুবিধা হবে। গলায় কাঁটা ফুটতে পারে সেই কথা খেয়াল রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।’ তবে বড় ছাত্র–ছাত্রীদের জন্য ছিল ইলিশ মাছ ভাজা ও ভাপা ছিল।