বাঙালি ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য নয়া চমক! দিঘায় চালু হল মেরিন ড্রাইভ, মিলবে এই সুবিধাগুলি

হলিউডের বিভিন্ন সিনেমায় সমুদ্রতীরের পাশ বরাবর বৃষ্টিস্নাত আবহাওয়ার মধ্যে দিয়ে নায়ক নায়িকার লম্বা রাইডের দৃশ্য দেখে আমাদের সবার মনেই এই নিয়ে এক পশলা রোম্যান্টিসিজম জমেনি বললে খুবই ভুল বলা হয়। আমাদের দেশেও এমন জায়গা থাকলে কেমন হতো এইভেবে অনেক সময়ই আমরা আনমনা হয়ে পড়ি। কিন্তু আর না, এবার বাংলার বুকেই সেই অভিজ্ঞতার সুযোগ মিলবে। সমুদ্রকে পাশে রেখে গাড়ি চালিয়ে লম্বা পথ পাড়ি দেওয়ার পথ উন্মোচিত করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

   

সমুদ্রকে পাশে রেখে লম্বা পথ পাড়ি দেওয়ার সুযোগ এবার বাঙালিদের হাতের মুঠোয়। দিঘা (Digha) থেকে শুরু হয়ে সেখান থেকে শংকরপুর এবং এরপর একেবারে মন্দারমনি পর্যন্ত লম্বা পথ তৈরি হয়েছে পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য। বুধবার পুর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক ভবনের কনফারেন্স হলে জেলার প্রশাসনিক বৈঠক থেকেই এই মেরিন ড্রাইভের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

পর্যটকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখেছে সরকার। তাই ঠিক সেইভাবেই নয়া পদ্ধতিতে আকৃষ্ট করে গড়ে তোলা হয়েছে এই নয়া মেরিন ড্রাইভ। একদম সমুদ্রকে পাশে রেখেই তৈরি হয়েছে এটি। গাড়ি চালাতে চালাতে এক মুহূর্তের জন্যেও সমুদ্র থেকে দূর অনুভব করবেন না পর্যটকরা। ইতিমধ্যেই সরকারের তরফে যে ছবি দেওয়া হয়েছে তাতে খুশির আমেজ ভ্রমণপ্রেমী বাঙালিদের মধ্যে।

বাঙালি যে কতটা ভ্রমণপ্রিয় এত আর বলে দেবার প্রয়োজন নেই। এই নয়া মেরিন ড্রাইভ একত্রে দিঘা, শংকরপুর, মান্দারমণি, তাজপুরের মতো পর্যটন ক্ষেত্রগুলিতে পৌঁছে যাওয়ার রাস্তা তৈরি করে দেওয়ার বাঙালিদের কাছে যেন সাক্ষাৎ ভ্রমণতীর্থ তৈরি হয়েছে।

অবশ্য শুধু পর্যটকরাই যে খুশি হয়েছেন সেটা বললে খুবই অন্যায় করা হবে। স্থানীয় মানুষজনও বেজায় আনন্দিত এই নয়া রাস্তার কারণে। নয়া মেরিন ড্রাইভ তৈরী হওয়ায় সেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থার তো প্রভূত উন্নতি হবেই, সেইসাথে রোজগারও বাড়তে চলেছে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞ মহলের।

বুধবার পুর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে এই মেরিন ড্রাইভের উদ্বোধন করলেই মানুষের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হবে এই নয়া রাস্তা। দিঘা থেকে শুরু করে সমস্ত সমুদ্র উপকূলবর্তী শহর জুড়ে যাওয়ায় আগামীতে যে, পর্যটকদের ঢল নামতে চলেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।