ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে যে, কালীপুজোর সময় এক ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় আসতে চলেছে। আম্ফানের মতোই ক্ষমতাশালী হবে সেটি। সেই কথা মাথায় রেখে প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই প্যান্ডেলগুলির পরিকাঠামো পোক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকি এই কাজের তদারকির জন্য খোদ জেলাশাসকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গে এই ঝড়ের প্রভাব অনেকটাই বেশি পড়তে চলেছে। সেই কারণে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছেন তারা। এদিকে উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে বিশেষ সতর্কীকরণ চালানো হচ্ছে। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরকে সমস্তরকম ব্যাবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর যে, এখন ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর বঙ্গোপসাগরে রয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই নাকি এটি গভীর থেকে গভীরতর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এরপর তার গতিপথ হতে পারে উত্তর এবং পশ্চিম দিক বরাবর। আগামি ৪৮ ঘন্টাতেই নিজের রুদ্ররুপ ধারণ করবে এই ঝড়।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ২২ তারিখ সকালেই এটি নিজের শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে চলেছে। ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যেবেলা নাগাদ এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। আর তখন এর শক্তি আরো কিছুটা বাড়বে। এর ফলে কালীপুজো পুরোপুরি মাটি হতে চলেছে। বৃষ্টিতে ভেস্তে যেতে পারে পূজোর প্ল্যান।
যদিও এই ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ ঠিক কোনদিকে হবে সেটা জানা যায়নি। এমনকি এখনই ঘূর্ণিঝড়ের গতি বা প্রভাবও নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য তৈরি থাকতে চাইছে রাজ্য সরকার। সেইজন্য ঝড় আসার আগেই চারিদিকে সতর্কীকরণ চালানো হচ্ছে।