চিনকে টেক্কা দিতে মোক্ষম ‘চাল’! চরম উদ্যোগ মুকেশ আম্বানির, এবার বিশ্ব কাঁপাবে ভারত

আবারও শিরোনামে উঠে এলেন ভারতের (India) খ্যাতনামা ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)। কারণ টেলিকম ইন্ডাস্ট্রিতে ঝড় তোলার পর আবারও একবার বড় কাজ করতে চলেছেন রিলায়েন্স কর্তা। এবার রিলায়েন্স কর্তা এমন এক কাজ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন যা শুনলে চমকে উঠবেন আপনিও। রিলায়েন্স কর্তার এক সিদ্ধান্তের জেরে অস্বস্তিতে পড়তে পারে চিন (China) বলেও মত ওয়াকিবহাল মহলের। আজ প্রত্যেকের হাতে মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ। এটি একটি সিলিকন চিপ নিয়ে গঠিত, যাকে সেমিকন্ডাক্টর (Semiconductor) বলা হয়। এই চিপ কোনও পণ্যের নিয়ন্ত্রণ এবং মেমরি ফাংশন পরিচালনা করে। বিশ্বব্যাপী মোবাইল ও ল্যাপটপের ব্যবহার যেমন বাড়ছে, তেমনি এর চাহিদাও বাড়ছে।

এহেন অবস্থা এবার জানা যাচ্ছে, টেলিকম শিল্পে বিপ্লব ঘটানোর পর রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এখন সেমিকন্ডাক্টরের দিকে নজর রাখছে। বিলিয়নিয়ার মুকেশ আম্বানি এই শিল্পে দেশকে উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি সম্পূর্ণ পরিকল্পনা প্রস্তুত করেছেন। আশা করা হচ্ছে শিগগিরই তার কোম্পানি সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের দুনিয়ায় প্রবেশ করবে। এক রিপোর্ট অনুযায়ী, রিলায়েন্স সেমিকন্ডাক্টরগুলির মূল্য জানে, তাই এটি তার উৎপাদন ক্ষেত্রে প্রবেশ করতে চায়। সংস্থাটি এই খাত নিয়ে অনেক গবেষণাও করে ফেলেছে ইতিমধ্যে। একই সঙ্গে অনেক বিদেশি চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও আলোচনা চলছে।

রিপোর্টে আরও বলা হয়, বিশ্বব্যাপী সেমিকন্ডাক্টরের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। ভারতও এর একটি বড় অংশ আমদানি করে। এমন পরিস্থিতিতে রিলায়েন্সের প্রবেশ পুরো চিত্রটাই পাল্টে দেবে। বর্তমানে সেমিকন্ডাক্টরের বাজার ২৩ বিলিয়ন ডলার, আশা করা হচ্ছে ২০২৮ সালের মধ্যে তা হবে ৮০ বিলিয়ন ডলার। এ কারণে রিলায়েন্স প্রতিষ্ঠানটি এ বিষয়ে বেশি মনোযোগ দিচ্ছে। যদিও রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ বা তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

বহুবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেও এ বিষয়ে ইতিবাচক বক্তব্য দিয়েছেন। জুলাই মাসে তিনি গুজরাটের গান্ধীনগরে অনুষ্ঠিত সেমিকন ইন্ডিয়া কনফারেন্স ২০২৩-এ যোগ দেন। সে সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, এশিয়ায় সেমিকন্ডাক্টরের ক্ষেত্রে পরবর্তী পাওয়ার হাউস হবে ভারত। এছাড়াও, তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং পাঠ্যক্রম উন্নত করার এবং একটি শক্তিশালী সেমিকন্ডাক্টর ইকোসিস্টেম প্রচারের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছিলেন।