টাকা পয়সার অভাব? এবার নিজের বাড়িটাই বিক্রি করে দিলেন মুকেশ আম্বানি! জানুন কত টাকা পেলেন হাতে

টাকার অভাব দেখা দিয়েছে ভারতীয় শিল্পপতী মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani)? শেষমেষ বাড়ি অবধি বিক্রি করে দিলেন? ব্যাপারটা কী? এশিয়ার অন্যতম ধনী ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানির সঙ্গে সম্পর্কিত একটি গুরুত্বপূর্ণ খবর সামনে এসেছে। যা শুনে আপনি আকাশ থেকে পড়বেন। আপনি হয়তো জানেন না যে শেষমেষ বাড়ি বিক্রি করে দিলেন মুকেশ আম্বানি। আগেই বলে দিই,  মুকেশ আম্বানির মুম্বাইয়ের বাড়ি অ্যান্টিলিয়া বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বাড়িগুলির মধ্যে একটি। মোট ৪,৫৩২ বর্গমিটার জুড়ে বিস্তৃত এই বাড়িটির মোট ২৭ তলা রয়েছে। এই বাড়িতে বিশ্বের সব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।

তবে আপনি যদি মনে করেন যে তিনি মুম্বাইয়ে তার বাড়ি অ্যান্টিলিয়া বিক্রি করেছেন, তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। আসলে রিলায়েন্স কর্তা নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে তার আবাসিক সম্পত্তি বিক্রি করেছেন। এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, মুকেশ আম্বানি এই বিলাসবহুল ফ্ল্যাটটি ৭৪.৫৩ কোটি টাকা অর্থাৎ ৯ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করেছেন।

মুকেশ আম্বানি মুম্বাইয়ে অবস্থিত অ্যান্টিলিয়াতে তার পরিবারের সাথে থাকেন, যা কেবল ভারতেই নয়, বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বাড়িগুলির মধ্যে অন্যতম।  মুকেশ আম্বানি যে ফ্ল্যাটটি বিক্রি করেছেন তা ম্যানহাটনের সুপিরিয়র ইঙ্ক. নামের একটি বহুতলের চতুর্থ তলায় রয়েছে। এই বহুতলে মোট ১৭টি ফ্লোর রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ আর নয় কমা ছবি, এবার Whatsapp-এ যাবে HD কোয়ালিটি পিকচার! কীভাবে? জানালেন জুকারবার্গ

দুটি বেডরুম ছাড়াও এই ফ্ল্যাটে তিনটি বাথরুম রয়েছে। এ ছাড়া এই ফ্ল্যাটের ছাদ ১০ ফুট উঁচু এবং মেঝে হেরিংবোন হার্ডউডের। এই ফ্ল্যাটের সমস্ত জানালা সাউন্ড প্রুফ। মুকেশ আম্বানির এই ফ্ল্যাটের প্রতিবেশীদের মধ্যে রয়েছেন হিলারি সোয়াঙ্ক এবং মার্ক জ্যাকবসের মতো সেলিব্রিটিরা।

ambani manhattan house

বিশেষ ব্যাপার হলো, ফ্ল্যাটের একদম সামনেই রয়েছে সুদৃশ্য হাডসন নদী।  এই বহুতলের কথা বলতে গেলে, এটি আগে একটি কারখানা আকারে ছিল। এটি ১৯১৯ সালে শুরু হয়েছিল। প্রায় ৯০ বছর পরে, ২০০৯ সালে, রবার্ট এএম স্টার্ন আর্কিটেক্টস এবং ইয়াবু পুশেলবার্গ ভবনটিতে কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন করেছিলেন। এই বহুতল কিডস প্লে এরিয়া থেকে শুরু করে জিম, বাইক রুম, পার্কিং-এর সুবিধা রয়েছে।