মুকেশ আম্বানি নন, Jio আনার পিছনে অবদান রয়েছে এই ব্যক্তির! ৬ বছরেই বদলে যায় সফর

আমরা আগেই আপনাদের জানিয়েছে রিলায়েন্স জিও (Jio) তাদের ষষ্ঠবর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে কত কিছু অফার নিয়ে হাজির হয়েছে গ্রাহকদের সামনে। কিন্তু আজ আমরা রিলায়েন্স জিওর যাত্রা সম্পর্কে জানাবো। কীভাবে বাজারে এল এই কোম্পানি? ধারণা জন্ম হয় কীভাবে?
সালটা ২০১৬, সে বছরের ৫ সেপ্টেম্বর টেলিকম সেক্টরে পা দেয় রিলায়েন্স জিও। মাত্র ৬ বছরই টেলিকম মার্কেটের আমূল পরিবর্তন করেছে জিও। জিও মার্কেটে আসার আগে কোম্পানিদের মুখ্য লক্ষ্য ছিল ভয়েস কোলের ওপর। কিন্তু জিও বাজারে আসতেই প্রথমে টার্গেট করে ইন্টারনেট ডেটা। জিও আসার পর ভারতের মানুষের জীবনশৈলীতে কী পরিবর্তন এসেছে সেটাও জানাবো আপনাদের।
জিও বাজারে আসার বহু আগে থেকেই ভারতে সোশ্যাল মিডিয়ার চল ছিল। কিন্তু দেশের প্রতিটি প্রান্তের জনসাধারণের কাছে সোশ্যাল মিডিয়াকে পৌঁছে দেওয়ার পিছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রয়েছে রিলায়েন্স জিওর। কিন্তু জানেন কি কীভাবে শুরু হয় এই কোম্পানি? জিওর কথা বললে সবার ধারনা হয় যে, রিলায়েন্স হয়তো মুকেশ আম্বানির মস্তিষ্কপ্রসূত। কিন্তু সেই ধারনা বদলে দিয়েছেন খোদ আম্বানি।
কে দিয়েছিল জিওর ধারনা : লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে মুকেশ আম্বানি বলেন যে, তিনি তার মেয়ে ঈশা আম্বানির কাছ থেকে এই ধারণা পেয়েছিলেন। সালটা তখন ২০১১, ঈশা ইয়েল ইউনিভার্সিটি থেকে ছুটি কাটাতে বাড়ি ফিরেছিল। সেখানে নিজের কাজ করতে গিয়ে মুকেশ আম্বনিকে জানিয়েছিলেন দেশে ইন্টারনেটের অবস্থা কতটা খারাপ।
২০১১ সালে যে দেশে ইন্টারনেটের গতি খুবই কম ছিল সেব্যাপারে কোনো বিতর্ক নেই। শুধু কমই থাকেনি, সেই সঙ্গে ইন্টারনেটের যা দাম ছিল তা সাধারণ মানুষের পক্ষে অ্যাকসেস করা ছিল খুবই ব্যয়বহুল। ইন্টারনেট ব্যবস্থার পুরোটাই ছিল ভারতীয় আমজনতার থেকে বহুক্রোশ দূরে। সেখান থেকেই শুরু হয় জিওকে নিয়ে আসার পরিকল্পনা।
বাজারে জিওর প্রবেশ এক মহা সমারোহ ফেলে দেয়। বাকি কোম্পানি যেখানে মূলত কলের ওপর নির্ভরশীল, সেখানে জিও আনলিমিটেড কল, ইন্টারনেটের সুবিধা এবং সম্পূর্ণরূপে ডেটার উপর ফোকাস করেছিল৷ তবে ব্যাপারটা অতটাও স্মুথ থাকেনি। অন্যান্য কোম্পানিগুলো জিওকে নিয়ে বহুবার অভিযোগ জানিয়েছে TRAI এর কাছে। এরপর জিও তাদের ব্যাবহারকারীদের জন্য নিয়ে আসে সস্তায় দারুণ প্ল্যান।