২০২৩ বিশ্বকাপের (Cricket World Cup) প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৭০ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে ভারত (India)। মহম্মদ শামি (Mohammed Shami) এই ম্যাচে ৯.৫ ওভারে ৫৭ রান দিয়ে ৭ উইকেট নেন। প্রথম ভারতীয় বোলার হিসেবে বিশ্বকাপে এক ম্যাচে সাত উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী মোদী সহ ক্রিকেট বিশ্বের অনেক সেলিব্রিটি তাঁর প্রশংসা করেছেন। লাইম লাইটে থেকে শামির জীবন আগে ছিল অন্ধকারে।
হার্দিক পান্ডিয়ার (Hardik Pandya) ইনজুরির পর ধর্মশালায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে সুযোগ পান মহম্মদ শামি। পরের ম্যাচে শামির টার্গেট ছিল ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে শামি মাত্র ২২ রানে ৪ উইকেট নেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচেও শামি ১৮ রানে পাঁচ উইকেট পেয়েছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই উইকেট পান। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ২০২৩ বিশ্বকাপের শেষ লিগ ম্যাচে সাফল্য না পেলেও ২০২৩ বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে সাত উইকেট নিয়ে দেশের নায়ক হয়ে উঠেছেন।
উত্তরপ্রদেশের আমরোহার বাসিন্দা মহম্মদ শামির সাফল্যের পিছনে রয়েছে এক দীর্ঘ ইতিহাস। ২০১০ সালে মহম্মদ শামি বাংলার হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে অভিষেকের সুযোগ পেয়েছিলেন, ২০১২ সালে তিনি হাসিন জাহানের সাথে দেখা করেছিলেন এবং ২০১৪ সালে দুজনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু বিয়ের চার বছর পর হাসিন জাহানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি ঘটতে শুরু করে। হাসিন জাহান মহম্মদ শামির বিরুদ্ধে ফিক্সিং সহ বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগ তোলেন, যা ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল এক সময়। এ কারণে বেশ সমালোচিতও হয়েছিলেন তিনি। ২০২০ সালে ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মার সাথে একটি ইনস্টাগ্রাম চ্যাটে শামি প্রকাশ করেছিলেন যে তিনি অনেক সময় আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলেন।
ক্রিকেট খেলার জন্য দশম শ্রেণীর পর আর পড়া হয়নি মহম্মদ শামির। উচ্চ শিক্ষার জন্য চেষ্টা করলেও মন পড়েছিল ক্রিকেট মাঠে। শামির বাবাও আর পড়াশুনার জন্য জোর করেননি। পনেরো বছর বয়স থেকে ক্রিকেট খেলা শুরু করেছিলেন শামি। তাঁর বাবা উত্তরপ্রদেশের সাধারণ কৃষক। বাড়িতে সব সময় কারেন্ট থাকতো না। ছেলের খেলা দেখার জন্য বাড়িতে কিনেছিলেন জেনারেটর।