ধেয়ে আসছে তিনটি ঘূর্ণিঝড়, বৃষ্টিতে ভিজবে গোটা বাংলা! ভাসতে পারে দুর্গা পুজোও

আর মাত্র কটা দিন, তারপরই বাংলার (West Bengal) ঘরে ঘরে আসতে চলেছেন মা উমা। তার আগমনের জন্য তোড়জোড় কম নেই, শুরু হয়ে গেছে মাতৃ আরাধনার প্রস্তুতি। পুজোর কেনাকাটা যেমন শুরু করে দিয়েছে বাঙালি তেমনই বিক্রেতারাও হরেক রকমের পসার সাজিয়ে তৈরি। এত হইচই, হুল্লোড় এর মাঝেই শোনাতে চলেছি খারাপ খবর! বেসরকারি আবহওয়া দপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে সামনে।
সেপ্টেম্বর মাসে পুজোর বাজার প্ল্যান করতে চলেছেন, কিন্তু জানা যাচ্ছে যে, মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে সেই সময়। তাই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পুজোর বাজার। এদিকে সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে গোটা বঙ্গোপসাগরে গতিবিধি বেড়েছে মৌসুমী বায়ুর। একইসাথে তিন থেকে পাঁচটি ঘূর্ণাবর্ত আছড়ে পড়তে পারে রাজ্যজুড়ে।
এই ঘূর্ণাবর্ত গুলি আবার পরিণত হতে পারে গভীর থেকে গভীরতর নিম্নচাপে। যা শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গ থেকে অন্ধ্রপ্রদেশ এর উপকূল পর্যন্ত এলাকার মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে। এবার সমস্যার ব্যাপার হলো যে, এই সমস্ত ঘূর্ণিঝড় তৈরী হবে সেপ্টেম্বরের তৃতীয় বা শেষ সপ্তাহে। ফলে পুজো নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন অনেকে।
এদিকে ওয়েদার রিপোর্ট অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে স্বাভাবিক তার চেয়ে কম বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পুজোর মরশুমে বৃষ্টি নিয়ে মাথায় হাত ব্যবসায়ী থেকে খরিদ্দার সবারই। ১ লা অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া শারদোৎসবের প্রস্তুতি চলে সারা বছর জুড়েই। তবে কি এবছর পুজোর সমস্ত প্ল্যান বানচাল করে দেবে ঘূর্ণিঝড়?
বঙ্গে এই বছর অত্যন্ত কম বৃষ্টি হওয়ায় চাষবাস সেরকম হতে পারেনি। সমস্ত দুঃখ কষ্ট ভুলে বাঙালি দূর্গতিনাশিনী মা দূর্গার আরাধনার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। কৃষিকাজে ক্ষতির পর এবার ঘূর্ণিঝড় এর কারণে আগামীতে কোনো বড় বিপর্যয় হয় কিনা সেটাই এখন দেখার।