মহাবিপর্যয়ের মুখে মহাকাশ! ভেঙে গিয়েছে সূর্য, ধ্বংস হবে পৃথিবীও? আর কতদিন আয়ু!

সূর্য ভেঙে গেলে কি হতে পারে? কল্পবিজ্ঞানে সেই নিয়ে কম আলোচনা হয়নি অবশ্য সেই নিয়ে। কিন্তু এটা কি সম্ভব? মানুষের অলীক কল্পনাও কি সম্ভব? হ্যাঁ, অন্তত বিজ্ঞানী মহলের তাই বক্তব্য! জানা যাচ্ছে সূর্যের একদম বাইরের ভাগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। তাহলে হচ্ছেটা কি? সভ্যতার বিনাশ ঘটবে শীঘ্রই? চলুন দেখি জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা কি বলছেন।

কয়েকমাস আগেই অত্যাধুনিক জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ মহাবিশ্বে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে প্রাপ্ত ছবির মাধ্যমে বদলে গিয়েছে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের নকশা। আর সেখানেই ধরা পড়েছে এক নতুন দৃশ্য। সেই নিয়ে সম্প্রতি ট্যুইট করেছেন স্পেস ওয়েদার ফোরকাস্টার ট্যামিথা স্কোভ। উল্লেখ্য ট্যামিথা স্কোবের কাজ মহাকাশের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া।

আমেরিকার কলোরাডোস্থিত ‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর অ্যাটমস্ফেরিক রিসার্চ’ বহুবছর ধরে সূর্যের ওপর নিরীক্ষণ রেখেছে। সেখানের সৌরপদার্থবিদ স্কট ম্যাকইনটশ জানান, ধরনের দৃশ্য নাকি এর আগে কখনও দেখেননি তিনি। এছাড়া ট্যামিথা স্কোভ লিখেছেন, এই বিষয়টি হলো ‘পোলার ভর্টেক্স’!

bbb 2

এখানে সূর্যের উত্তর মেরুর প্রধান ফিলামেন্ট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে এক বিরাট অংশ। আর সেকারণে সূর্যে উৎপন্ন হয়েছে ঘূর্ণিঝড় অথবা বলা ভালো ঘূর্ণিঝড়ের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কারণ স্থানটি আর স্থির নেই, ঘুরতেই থাকছে। এমতাবস্থায় আপনাদের প্রশ্ন থাকবে এই ‘পোলার ভর্টেক্স’ জিনিসটা ঠিক কি?

কী এই ‘পোলার ভর্টেক্স’?

ঠান্ডা হাওয়া আপনি যদি ঘড়ির উল্টো দিকে ধরেন তাহলে সৃষ্টি হয় ‘পোলার ভর্টেক্স’। এবার সূর্যের বাইরের পৃষ্ঠেও এরকম ঘূর্ণিঝড় দেখা গিয়েছে। আর সেটাকেই বিজ্ঞানীরা ‘পোলার ভর্টেক্স’ নাম দিয়েছেন। জানা গিয়েছে সূর্যের উত্তর মেরু ৬০° অক্ষাংশ প্রদক্ষিণ করার জন্য মাত্র ৮ ঘণ্টা সময় নিয়েছে!

আপনাদের জানিয়ে রাখি যে, এধরনের ঘটনা কিন্তু খুব একটা স্বাভাবিক না। আবার সূর্যের রশ্মির বিকিরণের ফলে বিভিন্ন হয়ে পর পৃথিবীর যোগাযোগ ব্যবস্থা। কিন্তু এবার এই এতবড় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কি হবে সেটা জানতেই উৎসুক বিজ্ঞানীরা। বিষয়টি নিয়ে বেশ বিস্মিত বিজ্ঞানীমহল।

➦ আপনার জন্য বিশেষ খবর

Back to top button