স্মার্টফোনের সিম কার্ডে করে ফেলুন এই ছোট্ট একটি পরিবর্তন, বিদ্যুৎ গতিতে চলবে ইন্টারনেট

বর্তমান যুগ বিশ্বায়নের, এখানে ডিজিটাইজেশনের ফলে দেশ সীমানার গণ্ডি মানুষকে বিশ্ববাসী করে তুলেছে। আর এই যুগের পুরো ভিত্তি হলো ইন্টারনেট। 2G, 3G, 4G পেরিয়ে এখন আমরা এসে পৌঁছেছি 5G এর যুগে। এই হাইস্পিড ইন্টারনেটের যুগেও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ইন্টারনেটের গতি শ্লথ হওয়ায় কাজ করতে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
দেশে 4G পরিষেবা শুরু হলেও বিশ্বের সামনে ভারতের ইন্টারনেটের গতি অত্যন্তই কম। ব্রডব্যান্ড পরিষেবার অবস্থা কিছু ভালো হলেও মোবাইল ইন্টারনেটের অবস্থা একেবারেই তথৈবচ। কিন্তু চিন্তা নেই সেই সমস্যার সমাধান করার পদ্ধতি নিয়ে এসেছি আমরা। এই ট্রিক মেনে চললেই দৌড়াবে আপনার ইন্টারনেট।
এর জন্য সামান্য কিছু কাজ করতে হবে আপনাদের। প্রথমেই স্মার্টফোনের সিম কার্ডের ট্রে খুলে নিতে হবে আপনাদের। এরপর ভালো করে লক্ষ্য করে নিন আপনার প্রধান ব্যাবহার করা সিম কোন স্লটে ঢোকানো রয়েছে। মাথায় রাখবেন প্রথম স্লটে সিম থাকলে তার গতি সবচেয়ে বেশি থাকে।
আপনার ফোনে ধীর গতির ইন্টারনেটের অসুবিধা বলে আপনি এই ট্রিক ট্রাই করে দেখতে পারেন। এছাড়া প্রথম স্লটে রাখলে ফোন করতেও সুবিধা হবে আপনাদের। অনেক সময় দেখা যায় যে, সিম কার্ডটি সঠিক স্লটে ঢোকানোর পরেও এটির অবস্থান কিছুটা বদলে যায়। সেক্ষেত্রে সিম কার্ড সঠিকভাবে কাজ করে না। এই কারণেও ইন্টারনেটের সমস্যা হতে পারে। তাই ভালো গতি চাইলে সেই দিকটারও খেয়াল রাখতে হবে আপনাদের।
পরিশেষে আপনারা এও দেখতে পারেন যে, আপনার ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক অটোমেটিক সেটিং চালু আছে কিনা। চালু না থাকলে সেই অপশন অন করেও এই সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন। সাথে আপনার ফোনে সেসমস্ত অ্যাপ ব্যবহার করেন না সেগুলোকে আনইনস্টল করে দিলেও গতি বাড়বে কিছুটা। আসলে ব্যকগ্রাউন্ডে কিছুটা ইন্টারনেট সমস্ত অ্যাপই ব্যাবহার করে।

ওপরে বর্ণিত এই সমস্ত টিপস ব্যাবহার করে আপনার ইন্টারনেটের গতি কেমন বেড়েছে তা জানাতে ভুলবেন না যেন। কমেন্ট সেকশনে এই সম্পর্কে নিজেদের মত জানান আমাদের।
এটাও মাথায় রাখতে হবে যে ইন্টারনেট নেটওয়ার্কে অটোমেটিক সেটিং চালু আছে। এর সাথে স্মার্টফোনটি সেরা সংযোগ প্রদান করে। এছাড়া অকেজো মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের ব্যাকগ্রাউন্ড ডাটা বন্ধ করতে হবে। যাতে ইন্টারনেটের গতি ভালো হয়।