আজ মহানবমী হাতে মাত্র আরেকটা দিন তারপরেই উমাকে বিদায় জানানোর দিন চলে আসবে। অর্থাৎ আগামীকালই হল দশমী, ফের একটা বছর সকলকে অপেক্ষা করতে হবে উমার আগমনের জন্য। এদিকে দুর্গা পুজোকে ঘিরে মানুষের মধ্যে উত্তেজনা একপ্রকার তুঙ্গে রয়েছে। সকাল হোক বা বিকেল বা সন্ধে হোক কিংবা মধ্যরাত, মানুষ জমিয়ে প্যান্ডেল হপিংয়ে ব্যস্ত যেদিকে দুচোখ যায় শুধু লোকে লোকারণ্য। চলছে দেদার প্যান্ডেল হপিং, খাওয়া-দাওয়া, আড্ডা হইহুল্লার। তবে এসবের মধ্যেও যেন একটি জিনিস সকলের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর তা হলো গভীর নিম্নচাপ (Low-Pressure area)। শুধু গভীর নিম্নচাপই নয়, চোখ রাঙাচ্ছে একটি ঘূর্ণিঝড়ও (Cyclone)। আর এই নিয়েই এবার নবমীর দিন চরম সতর্কতা জারি করল আলিপুর আবহাওয়া দফতর যা আপনার আনন্দে জল ঢেলে দিতে পারে বৈকি।
আজ থেকেই চরম আবহাওয়ার বদল ঘটতে চলেছে। গভীর নিম্নচাপটি দীঘা (Digha) থেকে কত দূরে রয়েছে সেটা অবশেষে জানিয়ে দিল আলিপুর আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, শনিবার রাতে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হয়েছিল। ২৪ ঘণ্টা পর তার অবস্থান দিঘার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ৫৬০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে।
বঙ্গোপসাগরের মধ্য-পশ্চিম দিক থেকে আসা নিম্নচাপটি রবিবার বিকেলের দিকে ১৭ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগ নিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় এই গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। ইতিমধ্যেই সমুদ্রে যাওয়ার ওপর মৎস্যজীবীদের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আজ দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) একের পর এক জেলায় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আর এই বৃষ্টি চলবে একাদশী অবধি বলে জানানো হয়েছে। শুধু বৃষ্টি নয়, সঙ্গী হবে বজ্রবিদ্যুৎ ও ঝোড়ো হাওয়া। দশমীতেও প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিসের মতে, আজ ও আগামী কয়েকদিন কলকাতা-সহ হাওড়া এবং হুগলি জেলার বিক্ষিপ্ত এলাকার পাশাপাশি উপকূলের কাছাকাছি পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কয়েকটি এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এছাড়া পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ২০ থেকে ৩০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে আশঙ্কা।