তাঁরা লাভবার্ডস। কোনও কিছুর পরোয়া করেন না তাঁরা। একে অপরকে কতটা ভালোবাসেন তা প্রকাশ্যে জানাতে কোনওদিনই কুন্ঠাবোধ করেননি তাঁরা। কেউ কেউ তাঁদের নিয়ে ট্রোলও করেন, আবার অনেকেই আছেন যারা তাঁদের দারুণ সমীহ করে চলেন। দুজনেই রাজনৈতিক পটভূমিতে রয়েছেন।
আশা করি বুঝতেই পারছেন কাদের কথা হচ্ছে এখানে? হ্যাঁ একদম ঠিক ধরেছেন, আজ কথা হচ্ছে শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee) ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Baisakhi Banerjee) নিয়ে। তাঁরা দুজনে সারাজীবন একে অপরের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন। সর্বদা তাঁরা বুক ঠুকে নিজেদের ভালোবাসার কথা সকলকে জানিয়েছেন। লোক লজ্জার কোনো রকম তোয়াক্কা না করে দুজনে বছরের পর বছর ধরে একে অপরের পাশে থেকেছেন। বেশ কয়েকটা বছর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ও হাতে হাত রেখে হেঁটেই চলেছেন।
এমনকি সকলের সামনে বৈশাখীর সিঁথিতে নিজের নামের সিঁদুর অবধি পরিয়ে দিয়েছেন শোভন। প্রায়শই দুজনের ছবি, ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সামাজিক মাধ্যমে যথেষ্ট সক্রিয় বৈশাখী। বর্তমানে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটেই একমাত্র মেয়ে মেহুলকে নিয়ে সুখে সংসার করছেন তাঁরা। যদিও আবারও তাঁরা উঠে এলেন শিরোনামে। কেন জানেন? জানতে হলে তাহলে গোটা প্রতিবেদনটি পড়তে হবে বৈকি।
এক সাক্ষাৎকারে দুজনের প্রথম সাক্ষাতের কথা বললেন শোভন-বৈশাখী জুটি। বৈশাখী বলেন, ‘প্রথম যেদিন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি, আমার এক সাংবাদিক বন্ধু বলেছিল খুব মন দিয়ে শোভনদার হাত দুটো দেখবি। আমি বলি, হাত মানে? জবাব এল- এক হাতের ব্রেসলেট আর অপর হাতে ঘড়ি। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আরেকজন বলে উঠল- আর উত্তম কুমারের মতো গিলে করা পাঞ্জাবিটা দেখব না? আমি কিন্তু সেদিন ওইগুলো স্টাডি করতেই গিয়েছিলাম…. অফিসের শেষবেলাতেই দেখা, প্রায় ৪টে বাজে। সত্যিই ওইরকম সাজে আমি কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে দেখিনি’।
অন্যদিকে প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় অকপটে জানান, ‘সালটা ২০০৯। একটা মিউনিসিপ্যালটির বডি তৈরি হচ্ছিল, যে কারা কোন দায়িত্ব নেবে। হঠাৎ করে দেখি দু-চার ভদ্রমহিলা পিকনিক করছে, তাদের মধ্যে কেউ এগিয়ে আসছে। গানের লাইন দিয়ে বলব- তোমার দেহের ভঙ্গিমাটি যেন বাঁকা সাপ পায়ে পায়ে ছড়িয়ে রাখো যৌবনেরই ছাপ। বৈশাখীকে কিন্তু আমি আজ থেকে চিনি এমনটা নয়। দীর্ঘদিন ধরে আমি বৈশাখীকে জানি। বৈশাখীর সঙ্গে আমার প্রথম দেখা… একবার শাড়ি বার করতে করতে, আমি বললাম তুমি সেদিন এই শাড়িটা পরেছিলেন না। তখন ও খুব অবাক হয়ে যায়, বলল তোমার শাড়িটার কথাও মনে আছে’। এই কথায় বৈশাখী বলে ওঠেন, ‘আমি ভাবলাম বাবা, লোকটার কী ফটোজেনিক মেমোরি।‘