এখন মানুষের ঘরে ঘরে গ্যাস সিলিন্ডারে (Gas Cylinder) রান্না হয়। যে কোনও মানুষের হেঁশেল এই এলপিজি (Liquefied petroleum gas) গ্যাস সিলিন্ডার ছাড়া একপ্রকার অচল। যদিও অনেক সময় দেখা গিয়েছে এই এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে গিয়ে একপ্রকার নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ আমজনতার।
যদিও উৎসবের আবহে এক প্রকার ঘরোয়া এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কমিয়ে সকলকে বিরাট স্বস্তি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ঘরোয়া গ্যাস সিলিন্ডার ও উজ্জ্বলা যোজনা গ্যাসে কয়েকশো টাকার ভর্তুকি দিয়ে অনেকটাই স্বস্তি দিয়েছিল সরকার। অক্টোবরের শুরুতেই উজ্জ্বলা যোজনার গ্রাহকদের জন্য ১০০ টাকা করে ভর্তুকি বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমন কি কলকাতার বাসিন্দারা ৯০০ টাকার একটু বেশি টাকায় এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার কিনছেন। এরই মাঝে আবারো একবার বড় রকমের ঘোষণা করল বিজেপি যা শুনে চমকে গিয়েছেন সকলে।
রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচনের আবহে ইশতেহার প্রকাশ করে নতুন করে সকলকে কমকে দিল বিজেপি। চলতি বছরের বিধানসভা ভোটকে কেন্দ্র করে এবং রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে একপ্রকার কাঁটায় কাঁটায় টক্কর চলছে বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে। যদিও অন্যান্য দলের মতো এবার বিজেপিও রাজ্যে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গ্যাস সিলিন্ডার সহ বিভিন্ন ইস্যুতে বেশ কয়েকটি প্রতিশ্রুতি দিল, যা সকলের নতুন করে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
বৃহস্পতিবার রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনের জন্য বিজেপি তাদের ইশতেহার প্রকাশ করেছে, যেখানে পাঁচ বছরের মধ্যে যুবকদের ২.৫০ লক্ষ সরকারি চাকরি এবং দরিদ্র পরিবারের মহিলাদের ৪৫০ টাকায় এলপিজি সিলিন্ডার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতায় ইস্টার্ন রাজস্থান ক্যানেল প্রজেক্ট (ইআরসিপি) সম্পন্ন করা হবে বলেও জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। বৃহস্পতিবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বিজেপির ইশতেহার প্রকাশ করেন।বিজেপি আরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, প্রতিটি জেলায় একটি করে ‘মহিলা পুলিশ স্টেশন’ এবং প্রতিটি থানায় একটি ‘মহিলা ডেস্ক’ গঠন করা হবে। সেইসঙ্গে সমস্ত বড় শহরে ‘অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড’ গঠন করা হবে।
পুলিশ বাহিনীতে ন্যূনতম ৩৩ শতাংশ নারী নিয়োগ নিশ্চিত করা হবে। দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘লাখপতি দিদি প্রকল্প’-র আওতায় প্রায় ছয় লক্ষ গ্রামীণ মহিলাকে দক্ষতা প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। দ্বাদশ শ্রেণি উত্তীর্ণ মেধাবী মেয়েদের স্কুটি দেওয়া হবে, দরিদ্র পরিবারের সকল ছাত্রীদের কেজি থেকে পিজি পর্যন্ত বিনামূল্যে শিক্ষা দেওয়া হবে। তিনটি মহিলা পুলিশ ব্যাটালিয়ন গঠন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী মাতৃ বন্দনা যোজনার আওতায় আর্থিক সহায়তা ৫০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০০০ টাকা করা হবে।