গ্যাস সিলিন্ডারের (Gas Cylinder) দাম নিয়ে ফের একবার নতুন করে চমক দিল বিজেপি। সেই দুর্গাপুজোর আগে থেকে শুরু হয়েছে। গ্যাস সিলিন্ডার মধ্যবিত্তের হেঁশেলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। এই জিনিসটি ছাড়া মানুষের জীবন একপ্রকার অচল। মানুষ চোখে সর্ষেফুল দেখেন। এদিকে রান্নার গ্যাসের দামে ওঠানামার প্রভাব যথেষ্ট পড়ে মধ্যবিত্তের পকেটে।
এর দাম বাড়লে যেমন মানুষের মাথায় বাজ ভেঙে পড়ে, ঠিক তেমনই এর দাম কমলে মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। যাইহোক, এবারও সকলের কথা চিন্তা করে বিজেপির হাতিয়ার হয়ে উঠল এই রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার (পিএমইউওয়াই) সুবিধাভোগীদের জন্য ভর্তুকির পরিমাণ এলপিজি সিলিন্ডার প্রতি ২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করেছে। এর পরেই উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় ভর্তুকিযুক্ত এলপিজি (Liquefied petroleum gas) সিলিন্ডারের দাম নেমে আসে ৬০৩ টাকায়।
এরই মাঝে আরও বড় চমক দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি জানালেন, গ্যাস সিলিন্ডার মিলবে ৫০০ টাকায়। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। ছত্তিশগড়ের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য শনিবার ইশতেহার প্রকাশ করে সকলকে চমকে দিল বিজেপি। এই ইশতেহার প্রকাশের সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘আমরা রাজ্যের লক্ষ লক্ষ মানুষের সঙ্গে আলোচনা করে ‘মোদী কি গ্যারান্টি’ ইশতেহার তৈরি করেছি। এ সময় তিনি বলেন, রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে গরিব পরিবারগুলিকে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হবে।‘ তিনি বলেন, আয়ুষ্মান ভারত যোজনার আওতায় কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বীমা দিচ্ছে।
অমিত শাহ আরও বলেন, বিজেপির যদি রাজ্যে খমতায় আসে তাহলে ছত্তিশগড়ের মানুষ ৫০০ টাকায় গ্যাস সিলিন্ডার পাবেন। রানী দুর্গাবতী যোজনা চালু করা হবে। এর আওতায় মেয়েরা প্রাপ্তবয়স্ক হলে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভূপেশ বাঘেল ৫ বছরের জন্য এখানে সরকার গঠন করেছিলেন। কিন্তু এর মধ্যে তারা শুধু কেলেঙ্কারি করেছে। এই ৫ বছরে ভূপেশ বাঘেল সরকারও আইন-শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে ব্যর্থ বলে প্রমাণিত হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভূপেশ বাঘেল ৩০০ টিরও বেশি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যা পূরণ হয়নি। আমি ছত্তিশগড়ের মানুষকে বলতে চাই যে মোদীজি ছত্তিশগড়ের উন্নয়ন করতে চান। কিন্তু ভূপেশ বাঘেল এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা। বাঘেলজি আশঙ্কা করছেন, এখানে যদি উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়, তাহলে তিনি চেয়ারহীন হয়ে পড়বেন।‘