১৯ বছর বয়সে কলেজ ছেড়ে শুরু করেন অভিনব ব্যবসা, আজ ৫ হাজার কোটি টাকার মালকিন

ক্যানভা অ্যাপ সম্পর্কে জানেন নিশ্চয়ই, আজ আমরা ক্যানভা অ্যাপ এর সহ প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও মেলানি পারকিনস সম্পর্কে জানাতে চলেছি। আজ তিনি একজন বিলিয়নিয়ার। গ্রাফিক ডিজাইনের সেরা প্ল্যাটফর্ম বানিয়েছেন তিনি। নিজের পছন্দমত গ্রাফিক ডিজাইন বানাতে জুড়ি নেই এই প্ল্যাটফর্মের।

কিন্তু জানেন কি এই মেলানি পারকিনস নিজের জীবনে ১০০ বারেরও বেশি প্রত্যাখ্যিত হয়েছেন। এরপর আজ তিনি যে জায়গায় পৌঁছেছেন তা খুব কম লোকই পারে। এই গল্পের শুরু হয় ২০০৭ সালে। তখন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পার্ট টাইম জবের সাথে যুক্ত ছিলেন তিনি। শিক্ষকতা করার সময় মেলানি তার ছাত্রছাত্রীদের কম্পিউটারে ডিজাইন শেখাতে গিয়ে বুঝতে পারেন এটা কতটা জটিল কাজ।

একই সাথে জটিল কাজ হওয়ার পাশাপাশি অত্যন্ত ব্যয়বহুলও ছিল সেই ব্যবস্থা। তারপরই সমস্ত সমস্যা দূর করার জন্য তিনি এমন কিছু বানাবার কথা ভাবেন যা থেকে সহজেই ডিজাইন তৈরি করা যায়। তখনই ক্যানভা নামক একটি অ্যাপ তৈরী করার কথা ভাবেন। তারপরই মেলানি ফিউশন বুকস নামে একটি কোম্পানি শুরু করেন। আদতে সেটি ছিল একটি ডিজাইন কোম্পানি। সেই সময়ে মেলানির ব্যবসায়িক অংশীদার ছিলেন ক্লিফ আউবেরেক। পরবর্তী সময়ে ক্লিফ আউবেরেক এবং মেলানি একে অপরকে ভালবেসে বিয়েও করে নেন।

আউবেরেক এবং মেলানি বিয়ে করার পর ২০১২ সালে তাদের সাথে যোগ দেন ক্যামেরন অ্যাডামস। এরপর তিনজন একসাথে মিলে তৈরি করেন ক্যানভা। এই প্ল্যাটফর্মটি অন্যান্য জায়গার তুলনায় ব্যাবহারকারীদের বেশি সুবিধা দেয়। এরপর বহুবার চেষ্টা করেছেন টাকা তোলার, কিন্তু প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। এমনকি ১০০ বার পর্যন্ত তাকে কেও টাকা দিতে রাজি হয়নি।

পরবর্তী সময়ে মেলানি বুঝতে পারেন কিভাবে বললে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। তিনি তখন বিনিয়োগ কারীদের কাছে জানাতে শুরু করেন ছাত্রছাত্রীরা কিভাবে বিরক্ত হতো গ্রাফিক ডিজাইন শিখতে গিয়ে। পরবর্তী সময়ে ক্যানভা তাদের ঠিক কতটা সাহায্য করেছে এই কাজে। এরপরই অনেকে তার কোম্পানিতে বিনিয়োগ করতে রাজি হন। এরপরই টাকা পেতেই দ্রুত এগিয়ে চলে ক্যানভা।

melanie perkins ceo cofounder 2 482171 f2ydnz

আজ ক্যানভা বিশ্বের সবচেয়ে দামী স্টার্টআপ গুলোর একটি। ৪০ বিলিয়ন ডলার এর কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে তারা। এছাড়া ক্যানভা বিশ্বের সমস্ত স্টার্ট-আপগুলির মধ্যে প্রথম হয়েছে যেখানে কোনও মহিলা দ্বারা পরিচালিত হয় এই কোম্পানি। মেলানির এই যাত্রা সারাবিশ্বের লক্ষ লক্ষ তরুণ তরুণীকে নিজেদের স্বপ্নের দিকে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে।

➦ আপনার জন্য বিশেষ খবর

Back to top button