পুজোয় ১ লক্ষের উপর গাড়ি ধরল কলকাতা পুলিশ! ৫০ শতাংশের বেশি বাইক, চালানের অঙ্ক চমকে দেবে

দুর্গাপুজোর সময়ে বড় রকমের সাফল্য পেল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। একদিকে মানুষ যখন দুর্গাপুজোর আনন্দে মেতে উঠেছেন, প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঠাকুর দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন, ঠিক তখনই একপ্রকার চুপিসারে বড় রকমের কাজ সেরে ফেলল কলকাতা পুলিশ। যে কারণে সর্বস্তরে কলকাতা পুলিশকে নিয়ে আলোচনা হতে শুরু করেছে।

   

আপনিও কি জানতে ইচ্ছুক যে কলকাতা পুলিশ কী এমন কাজ করল যার জন্য তারা সর্বত্র এত প্রশংসিত হচ্ছেন? তাহলে অবশ্যই ঝটপট পড়ে ফেলুন এই প্রতিবেদনটি। কী কারণে পুলিশের এত প্রশংসা হচ্ছে তা শুনলে হয়তো আপনি একদম ঝটকা খেয়ে যাবেন, নিজের কানকেও হয়তো আপনি বিশ্বাস করতে পারবেন না একদম। বিশৃঙ্খল আচরণের অভিযোগে ১৮ অক্টোবর থেকে ছয় দিনে ৮৭৭ জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে ট্র্যাফিক নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য পুলিশ ৭০০০ এরও বেশি গাড়িচালকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

কলকাতা পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৮ অক্টোবর থেকে বিশেষ অ্যান্টি ক্রাইম টিম এবং সাদা পোশাকে পুলিশ পুজো প্যান্ডেল এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানসহ শহরে টহল দিচ্ছিল। টহলদারির সময়ে পুলিশের নজরে পড়ে যান বেশ কয়েকজন। একের পর এক এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং শান্তি বিঘ্নিত করতে পাওয়া ব্যক্তিদের আটক করে। পরে ওই ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হয়।

শুধু এখানেই কিন্তু শেষ নয়, চলতি বছরের মহালয়া থেকে নবমী পর্যন্ত শহরের রাস্তায় বিধি ভাঙার জন্য এক লক্ষ ১০,৯২৯টি গাড়ি ধরেছে পুলি‌শ। তার মধ্যে বাইকের সংখ্যাই ছিল নাকি ৫০ শতাংশেরও বেশি। তার পরেই রয়েছে চারচাকার ব্যক্তিগত গাড়ি। লালবাজার সূত্রে খবর, পুজোর সময়ে রাস্তাঘাটে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে, তবে কিন্তু কোনওরকম প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি এ বার। নো পার্কিং জোনে গাড়ি রাখার জন্য ৪০ হাজার ৫৮৪টি অভিযোগ উঠেছে। তার মধ্যে বাইক, ছোট গাড়ি, বাস-সহ সমস্ত ধরনের গাড়িই রয়েছে।

kolkata police challan

সন্ধ্যা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত শহরজুড়ে বিশেষ নাকা চেকিং অভিযানে ট্রাফিক আইন অমান্য করার জন্য ৭৩৮৯ জন মোটরসাইকেল চালককে জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে হেলমেট না পরার কারণে ২১,১৮৩ জন মোটরসাইকেল আরোহীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ছাড়া ১৮ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবরের মধ্যে ছয় দিনে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর জন্য ১০ হাজার ৫০৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে এবং বেপরোয়া ও অবহেলায় গাড়ি চালানোর জন্য ৪০৪ জনকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে।