যারা কলকাতা (Kolkata) থেকে ত্রিপুরা (Tripura) যাওয়ার কথা ভাবছেন তাদের জন্য রইল এক দারুণ সুখবর। এই খবর শুনে খুশিতে লাফাবেন আপনিও। এক ধাক্কায় অনেকটাই কমবে যাত্রার সময়। বর্তমান সময়ের ত্রিপুরা থেকে কলকাতা পৌঁছাতে প্রায় ৩১ ঘণ্টা লেগে যায়। কিন্তু এবার এই সিদ্ধান্তের ফলে মানুষের সমস্যা অনেকটাই দূর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি পদ্মা সেতুর (Padma Multipurpose Bridge) মাধ্যমে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। এই পদ্মা সেতুকে ঘিরে বাংলাদেশবাসীর গর্বের শেষ নেই। এই পদ্মা সেতু বাংলাদেশের অন্যতম লাইফ লাইন হিসেবে পরিণত হয়েছে। গত ২০২২ সাল থেকে এই ব্রিজ তৈরি কাজ শুরু করেছিল বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকার। কিছুদিন আগে অবদি এই ব্রিজের উপর দিয়ে শুধুমাত্র যান চলাচল করতো। যদি এবার সম্প্রতি শুরু হয়েছে রেল পরিষেবা।
তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এখন অবধি পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে কোন রেল পরিষেবা শুরু হয়নি এখন শুধুমাত্র চলছে ট্রায়াল রান। আর এই ট্রায়াল রান শেষ হলেই ত্রিপুরা ও কলকাতার মধ্যে দূরত্ব অনেকটাই কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা বেজে ৭ মিনিটে ঢাকা থেকে ছেড়েছিল ট্রেন। ঢাকা থেকে ভাঙ্গা স্টেশনের দূরত্ব ৮২ কিলোমিটার। মাঝে পদ্মা সেতু। আর এই সেতুর উপর দিয়ে ট্রেনে করে নদীর এ প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে পৌঁছাতে সময় লেগেছে মাত্র ৮ মিনিট। যদিও ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার রেলপথের উদ্বোধন আগামী ১০ অক্টোবর করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ সরকার সূত্রে খবর, গত ৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে আগরতলা-আখাউড়া রেলপথ। এদিকে এই রেলপথের ফলে এবার থেকে মাত্র দু’ঘন্টায় আগরতলা থেকে ঢাকায় পৌঁছানো যাবে। এরপর সেখান থেকে মাত্র তিন ঘন্টায় পৌঁছানো যাবে শিয়ালদা।
জানা যাচ্ছে, ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৮০ শতাংশ, মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৯৬.৫০ শতাংশ এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর অংশে ৭৮ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২০২৪ সালের জুন মাসে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। দূরত্ব কমাতে একের পর এক রেলপথ নির্মাণ করা হবে আগামী দিনে বলে খবর।