বিতর্ক আর কঙ্গনা রানাওয়াত (Kangana Ranaut) একইসাথে চলেন। কঙ্গনা যেখানে যাই বলেন সেখানেই এক নয়া বিতর্কের সৃষ্টি হয়। কিছুদিন আগেই করণ জোহরের মতো পরিচালক দের D কোম্পানির এর সাথে যুক্ত করে তুলোধনা করেছেন তিনি। আর এবার তিনি ট্যুইটারের ব্লু টিক নিয়ে বিশেষ পরামর্শ দিয়েছেন ইলন মাস্ককে (Elon Musk)।
ট্যুইটার কেনার পর থেকেই ইলন মাস্ক একের পর এক বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছেন। প্রথমেই চাকরি যায় ট্যুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়ালের। ইলন মাস্কের পরের সিদ্ধান্ত ট্যুইটারের ব্লু টিকের নিয়মে বদল আনার। এতদিন নাম মাত্র কিছু ব্যক্তিই এই সুবিধা উপভোগ করতেন।
ট্যুইটারের এই নিয়ম অনেকটা রাজা-প্রজার মত বিভেদ তৈরি করে। কিন্তু ইলন সেই নিয়মে ব্যপক পরিবর্তন আনতে চলেছেন। আর সেই ক্ষেত্রেই মাস্ককে বিশেষ উপদেশ দিলেন কঙ্গনা রানাওয়াত। বলি অভিনেত্রীর কথায় তার ইচ্ছে ভারতে যত জনের আধার কার্ড আছে তাদের প্রত্যেককে নীল টিক দেওয়া উচিত।
কঙ্গনার মতে ট্যুইটার যথেষ্ট ভালো একটি প্ল্যাটফর্ম। সাথে মাসে ৮ ডলার চার্জ নেওয়ার ব্যাপারে কঙ্গনা এদিন বলেন, ‘‘ নির্বাচিত ব্যক্তিদের যাচাইকরণের ধারণাটি আমি কখনই বুঝতে পারিনি। প্রক্রিয়া দেখে মনে হতো যেন অন্য লোকেদের বাস্তবে কোনো উপস্থিতি নেই। আমাকে যাচাই করা হলেও, আমার বাবা যদি ব্লু টিক চান তাহলে চারজনের মধ্যে তিনজন জোকার আমার বাবাকে নিয়ে মজা শুরু করবে। ভারতে যাদের আধার কার্ড রয়েছে তারাই এই ব্লু টিক পাওয়ার যোগ্য দাবিদার।”
এদিকে গত কয়েকবছরে কঙ্গনার ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট বেশ কয়েকবার সাসপেন্ড হয়েছে। শেষবার তার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড হয় হওয়ার পর তিনি আর ট্যুইটারে ফিরে যাননি। কঙ্গনার বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক উস্কানি, বিভেদমূলক মন্তব্য করা অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময় কঙ্গনা ট্যুইটারের প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসিকে অভিশাপও দিয়েছিলেন। আর আজ ডরসি আর ট্যুইটারের কেউ নন।