চিনকে ঠেকাতে হাতিয়ার ভারত, বড় প্রস্তাব দিল ফ্রান্স! এবার ঘুম উড়বে বেজিংয়ের

ধীরে ধীরে শক্তি বাড়াচ্ছে ভারত (India), আর তাতেই ভীত সন্ত্রস্ত চিন (China)। সীমান্তে সংঘর্ষে প্রতিবারই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর সম্মুখসমরে নামার সাহস হারিয়েছে লাল চিন। এরইমধ্যে যা খবর আসছে তাতে আরো একবার ক্ষেপে উঠতে পারে চিনা বাহিনী। বিশেষ করে নৌবাহিনীর ক্ষমতা বাড়ার কারণে বিরাট ভয়ের মধ্যে থাকবে চিনা নৌসেনা। সদ্যই আবার ফ্রান্স (France) তাদের লেটেস্ট বারাকুডা ক্লাস সাবমেরিন অফার করায় ক্ষেপে ওঠেছে শি জিনপিং সরকার।
ভারতীয় সেনাবাহিনী বর্তমানে বিরাট সংখ্যায় সাবমেরিন অধিগ্রহণে নজর দিয়েছে। নৌসেনার পেশীশক্তি বাড়ানোর জন্য প্রজেক্ট 75i এর দরুন কনভেনশনাল সাবমেরিন অধিগ্রহণের প্রক্রিয়ায় রয়েছে সরকার। এই নিয়ে জার্মানি এবং রাশিয়ার মধ্যে জোর টক্কর চলছে যে, এই ডিল কার কাছে যাবে। তারই মধ্যে প্রজেক্ট-75 আলফাতেও (পারমাণবিক সাবমেরিন অধিগ্রহণের জন্য) বেশ জোর দিয়েছে ভারত।
এসবের মধ্যে আবার আধুনিকায়নের প্রক্রিয়ায় নৌবাহিনীর শক্তি বাড়াবে ফরাসি বারাকুডা ক্লাস সাবমেরিন। নয়া চুক্তির আওতায় ফ্রান্স ভারতের সঙ্গে ৬টি অত্যাধুনিক পারমাণবিক সাবমেরিন তৈরি করবে। শুধু তাই না, ফ্রান্স তার ব্যারাকুডা-শ্রেণীর সাবমেরিন প্রোগ্রামের টেকনোলজি ট্রান্সফারের প্রস্তাবও দিয়েছে। প্রসঙ্গত ফরাসি সংস্থা নেভাল গ্রুপ এই সাবমেরিন তৈরি করবে।
এবার এই চুক্তি চিনকে বড় টক্কর দিতে পারে। কিছুদিন আগের AUKUS চুক্তির দরুন অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক শক্তি চালিত সাবমেরিন দেবে আমেরিকা এবং ইংল্যান্ড। ভারত মহাসাগরে নিজেদের শক্তি বাড়াতে চাইছে চিন, আর এক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া এবং ভারত নিজেদের শক্তি বাড়ানোয় এক্ষেত্রে চিন বড় টক্কর পাবে। ফলে প্রশ্নচিহ্ন উঠবে চিনের আধিপত্যের ওপর।
এখনো অবশ্য বারাকুডা ক্লাস সাবমেরিন অধিগ্রহণের চুক্তি সম্পন্ন হয়নি। ভারতীয় নৌসেনা ফ্রান্সের প্রস্তাবে সম্মত হলে সেটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এক বড় স্মারক হয়ে থাকবে। এছাড়া মেক ইন ইন্ডিয়া এবং আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পেও বড়সড় বুস্ট আসবে। উল্লেখ্য, ‘প্রজেক্ট 75 আলফা’ এর দরুণ মোট ৬টি পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিন অধিগ্রহণ করবে ভারত।
উল্লেখ্য, এর আগে ভারত ফ্রান্সের থেকে ৬টি স্করপিয়ন ক্লাস সাবমেরিন অধিগ্রহণ করে। যেগুলো মুম্বাইস্থিত মাজগাঁও ডক লিমিটেডের তরফে নির্মাণ করা হয়। স্করপিয়ন ক্লাসের সাবমেরিন গুলো সবই ছিল ডিজেল ইলেকট্রিক শ্রেণীর। কিন্তু বারাকুডা ক্লাস সাবমেরিন গুলো সবই পারমানবিক শক্তিতে চলে। এগুলো ভারতে নির্মাণ হলে যেমন নৌসেনার পেশীশক্তি বাড়বে তেমনই চিনা আগ্রাসনের যোগ্য জবাব দিতে পারবে ভারতীয় নৌসেনা।