বেতন ৩০ হাজার টাকা! দ্বাদশ শ্রেণি পাশে ডিগ্রি ছাড়াই চাকরি সুযোগ! বড় ঘোষণা কেন্দ্রের

করোনা অতিমারি পরবর্তী সময়ে দেশজুড়ে দেখা যায় চাকরির আকাল। আসলে দেশ লকডাউনে থাকা অবস্থায় বহু মানুষকে ছাঁটাই করে দেয় বিভিন্ন সংস্থা, এছাড়া থাকা খাওয়া অনিশ্চিৎ হওয়ায় কাজ ছেড়ে ফিরে আসতে হয় লাখো পরিযায়ী শ্রমিককে। কিন্তু এসময়ই বিরাট বড় ঘোষণা কেন্দ্র সরকারের। বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এদিন ঘোষণা করেন যে, কলেজের ডিগ্রি না থাকলেও ৩০ হাজার টাকার মাসিক বেতনের চাকরি পেতে পারবেন যোগ্য প্রার্থীরা। আগামী বছরের মধ্যে শুরু হিনে ড্রোনের পাইলট নিয়োগ। সরকার ১ লক্ষেরও বেশী ড্রোন পাইলট নিয়োগ করবে বলে জানা যাচ্ছে। I
আসলে দেশিয়ভাবে ড্রোনের চাহিদা বেড়েছে। এই অবস্থায় প্রয়োজন চালকের। সেই জন্যই এই নিয়োগ। তবে এই কাজের জন্য কি কি ডিগ্রীর প্রয়োজন চাওয়াতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান যে, “দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করা ব্যক্তিরাও ড্রোন পাইলটের প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। এর জন্য কলেজ ডিগ্রির কোনো প্রয়োজন নেই। আগামী বছরগুলিতে প্রায় এক লক্ষ ড্রোন পাইলটের প্রয়োজন হবে। পাশাপাশি, এর জন্য মাত্র দু’ থেকে তিন মাসের প্রশিক্ষণ নিতে হয়। একজন ব্যক্তি প্রায় ৩০,০০০ টাকা মাসিক বেতনে ড্রোন পাইলটের কাজ করতে পারেন।”
ভারত সরকার বর্তমানে ড্রোন প্রযুক্তি এবং তার প্রচারের ওপর খুব বেশি জোর দিয়েছে। জানা যাচ্ছে ভারতকে “গ্লোবাল ড্রোন হাব” বানানোর লক্ষ্যে হাঁটছে সরকার। এই প্রসঙ্গে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেন , “আমাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতকে একটি ‘গ্লোবাল ড্রোন হাব’-এ পরিণত করা। আমরা বিভিন্ন শিল্প ও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত খাতে ড্রোনের ব্যবহারের জন্য প্রচার করছি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চান যে নতুন প্রযুক্তির বিকাশ হওয়া উচিত এবং আরও বেশি সংখ্যক মানুষ যাতে এর সুবিধা পেতে পারেন, সেদিকেও নজর দিচ্ছি আমরা।”
তবে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এদিন জানান যে, সরকার ড্রোন প্রযুক্তিকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং বিশ্বমানের গড়ে তুলতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। যাতে খুব সহজে কম খরচে তৈরি করা যায় ড্রোন। এর জন্য আমরা তিনটি পদ্ধতি লক্ষ্য করছি, প্রথমটি হলো নীতি। দ্বিতীয়ত ইনিশিয়েটিভ তৈরি করা।এবং সরকারের তৃতীয় লক্ষ্য হচ্ছে দেশিয়ভাবে চাহিদা তৈরি করা।