‘আমার কেরিয়ার শেষ”, প্রকাশ্যে প্রসেনজিৎ-র পায়ে ধরে কেঁদেছিলেন যীশু! কারণ অবাক করে দেবে

কোনোদিন কি আপনাদের মনে প্রশ্ন এসেছে টলিউডের নায়কদের মধ্যে সম্পর্কটা ঠিক কেমন? অনেকেই বাংলা সিনে ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম বিখ্যাত অভিনেতাকে নিয়ে বলেন যে, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee) নাকি পলিটিক্স করে অনেক নায়কের কেরিয়ার শেষ করার চেষ্টা করেছেন। আর তার মধ্যে রয়েছেন যিশু সেনগুপ্ত (Jisshu Sengupta)। কিন্তু তিনি নিজে কি বললেন? সদ্যই একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে সেখানে এই নিয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন তিনি।
অভিনেতা বনি সেনগুপ্তরর টক শো-তে এসে যিশু খুল্লমখুল্লা বলে দেন, “যারা অ্যান্টি বুম্বাদা তাঁরা অনেক বলেছে বুম্বাদা তোকে ভাই করে রেখে দিয়েছে। তোকে হিরো হিসাবে উঠতে দেয়নি। বুম্বাদা আমার কাছে বড় দাদার মতো। উনি আমার জীবনের এমন একজন মানুষ, যিনি ছবির কাজের বাইরেও সারাক্ষণ আমার পাশে থেকেছেন। নিন্দুকেদের আমি সবসময় একটাই কথা বলেছি, বুম্বাদা আমার কপালে কোনওদিন বন্দুক ঠেকিয়ে বলেনি, এই কাজটা তোকে করতে হবে। আজ অবধি কোনওদিন বুম্বাদা ষড়যন্ত্র করে আমার কেরিয়ার নষ্ট করবার চেষ্টা করেননি। বরং আমাকে সবসময় গাইড করেছেন।”
শুধু তাই না, সেখানে যিশু আরো জানান, কিভাবে এক বড় বিপদ থেকে তাকে উদ্ধার করেন প্রসেনজিৎ। যিশু বলেন, একবার হয়েছে কি তার দুই ছবির তারিখ একে অপরের সাথে ক্ল্যাশ করে গিয়েছে। পরপর দুই দিন কলকাতা এবং মহীশূরে ছবির শুটিং চলছিল। একটি ছবি ছিল হরনাথ চক্রবর্তীর অন্যটি অনুপ সেনগুপ্তর। সেখানে যিশু বলেন, কলকাতায় হরনাথ চক্রবর্তীর শুটিংয়ের তারিখ একদিন বেড়ে যাওয়ায় মহা ফ্যাসাদে পড়েন তিনি।
একই দিনে যিশুকে কলকাতা এবং মহীশূরে উপস্থিত থাকতে হবে। আর তারই মধ্যে সিনিয়র ডিরেক্টরদের বকা খেয়ে যান তিনি। মহীশূরে মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে শ্যুটিং সারতে হবে তাকে, আর সেই পরিস্থিতি নিয়ে যিশু বলেন, ‘আমি তো শেষ…. কাঁদতে কাঁদতে সোজা বুম্বাদার পায়ে, এখনও মনে আছে ইন্দ্রপুরী স্টুডিওতে ফ্লোরের গেটটার কাছে বুম্বাদা বসেছিল। (কাঁদো কাঁদো গলায়) বুম্বাদা আমার কেরিয়ার শেষ। কিচ্ছু হবে না। এরপর দাদা বলল কী হয়েছে? আমি সবটা বলায় বলল, তুই এমনভাবে ডেট দিস কেন? তারপর অনুপদাকে নিজে ফোন করল।’’
যিশুর হয়ে বুম্বাদা আরো বলেন, ‘‘কাল সকালে ফার্স্ট হাফে এখানে শ্যুটিং করবে। আর সন্ধ্যার মধ্যে তোর ওখানে পৌঁছে যাবে। পরশু সকালে ওখানে শ্যুটিং করবে। যাই হোক বুম্বাদার কথা শুনে অনুপদা রাজি হন। ” এদিকে এই ঘটনা শুনতে শুনতে হাসতে থাকেন বনি। আসলে তিনি নিজে অনুপ সেনগুপ্তের ছেলে!
যিশু তারপর বলেন, ‘‘পরদিন হোটেলে তো আমি ভয়ে ভয়ে ঢুকছি। অনুপদা আমাকে দেখেই প্রথম প্রশ্ন, তুই কাঁদছিলি কেন বুম্বাদার সামনে? আমি আর কী বলব… বললাম আমি তো ভাবলাম আমার কেরিয়ার শেষ, ইন্ডাস্ট্রি থেকে বেরিয়ে যেতে হবে।” আর এই ভিডিও দেখে সবাই তারিফ করেছেন প্রসেনজিৎকে নিয়ে। উল্লেখ্য, ভিডিওটি পোস্ট করা হয় বুম্বাদার এক ফ্যান ক্লাবের পক্ষ থেকে।