তাঁর অনুমতি ছাড়া একচুলও নড়ত না রকেট! অকাল প্রয়াণ ISRO-র মহিলা বিজ্ঞানীর, শোকের ছায়া দেশে

চন্দ্রযান ৩-এর (Chandrayaan-3) সাফল্যকে ঘিরে একদিকে যখন গোটা দেশবাসী আনন্দে আত্মহারা, ঠিক তখনই চরম দুঃসংবাদ শোনা গেল ISRO-র তরফে। যারপর থেকে কাঁদছে গোটা দেশ। কী হয়েছে জানেন? জানা যাচ্ছে, চন্দ্রযান-৩-এর সঙ্গে যুক্ত ইসরোর এক বিজ্ঞানীর (Scientist) মৃত্যু হয়েছে। ওই বিজ্ঞানীর নাম এন ভালারমাথি (N. Valarmathi), যিনি চন্দ্রযান মিশনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন। চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণের সময় কাউন্টডাউন করেছিলেন ইসরোর মহিলা বিজ্ঞানী ভালারমাথি।

জানা গিয়েছে, এন ভালরামথি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। সূত্রের খবর, তামিলনাড়ুর আরিয়ালুরের বাসিন্দা ছিলেন এন ভালরামথি। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় চেন্নাইয়ে আচমকাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। এদিকে এই বিজ্ঞানীর আচমকা মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে ইসরো তথা গোটা ভারতে (India)। ইসরোর বিজ্ঞানীরা মহিলা বিজ্ঞানীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। প্রাক্তন বিজ্ঞানী ডঃ পিভি ভেঙ্কটকৃষ্ণ বলেন, শ্রীহরিকোটা থেকে আইএসআরও-র ভবিষ্যত মিশনের কাউন্টডাউনের জন্য ভালরমতি ম্যাডামের কণ্ঠ চুপ করিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই কণ্ঠ আর শোনা যাবে না।

এন ভালারামতি ১৯৫৯ সালের ৩১ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৪ সালে তিনি ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনে বা ইসরো-তে যোগ দেন। তিনি ইসরোর অনেক মিশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি দেশীয়ভাবে তৈরি রাডার ইমেজিং স্যাটেলাইট (আরআইএস) এবং আইআরএসটি-১ এর প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালে, প্রথমবারের মতো আবদুল কালাম পুরষ্কার দেওয়া হয়েছিল এবং এন ভালারমাথি ছিলেন প্রথম বিজ্ঞানী যিনি এই পুরষ্কার পেয়েছিলেন।

ডঃ পিভি ভেঙ্কটকৃষ্ণ লিখেছেন যে, চন্দ্রযান ৩ এর কাউন্টডাউন ছিল এন ভালারমাথির শেষ কাউন্টডাউন। গত ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণ করা হয়। গত ২৩ আগস্ট চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডার মডিউল (এলএম) চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করে। ল্যান্ডার মডিউলটিতে বিক্রম ল্যান্ডার এবং প্রজ্ঞান রোভার ছিল। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণকারী বিশ্বের প্রথম দেশ এবং চাঁদে অবতরণকারী চতুর্থ দেশ হয়ে উঠেছে ভারত।