ল্যান্ডার, রোভাররের অপেক্ষার মধ্যেই আরও এক সাফল্য! চন্দ্রযান ৩ নিয়ে বিরাট সুখবর দিল ISRO

চন্দ্রযান ৩-কে (Chandrayaan-3) নিয়ে দেশবাসীর গর্বের শেষ নেই। চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্য ভারতের পাশাপাশি গোটা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে ISRO। পৃথিবীর অন্যান্য দেশ যা করে দেখাতে পারেনি, যেটা চাঁদের বুকে ভারত করে দেখিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনের পর চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদের মাটিতে নিরাপদে অবতরণ করেছে ভারত (India)।

   

মিশনের সাফল্যের পর এখন এটি সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ্যে উঠে এসেছে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়েছে, যা শুনে হয়তো আপনার চোখও ছানাবড়া হয়ে যেতে পারে। অনেকেই হয়তো জানেন না যে চন্দ্রযান-৩ এর প্রপালশন মডিউলে পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার করা হয়েছিল। আর এর জন্য ISRO ও বার্ক হাত মিলিয়েছিল।

পারমাণবিক শক্তির সাহায্যে চন্দ্রযান-৩-এর প্রপালশন মডিউল আগামী কয়েক বছর ধরে চাঁদের চারপাশে ঘুরতে থাকবে বলে খবর। উল্লেখ্য, গত ২৩ আগস্ট চাঁদের মাটিতে অবতরণ করে চন্দ্রযান। এর প্রায় এক সপ্তাহ আগে ১৭ আগস্ট চন্দ্রযান থেকে আলাদা হয়ে যায় প্রপালশন মডিউল। প্রাথমিকভাবে এর আয়ু ৩ থেকে ৬ মাস বলে জানা গেছে। এখন বলা হচ্ছে, পারমাণবিক শক্তির সহায়তায় আগামী দুই থেকে তিন বছর কাজ চালিয়ে যাবে। ইসরো পৃথিবীতে চাঁদ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে থাকবে। যখন ভারতের চাঁদ মিশন চালু হয়েছিল, তখন এই মডিউলটিতে ১,৬৯৬ কেজি জ্বালানী ছিল, যার সাহায্যে চন্দ্রযান প্রথম পৃথিবীর পাঁচটি প্রদক্ষিণ করেছিল।

isro chandrayaan 3

চন্দ্রযান-৩ মিশনের প্রজেন্ট ডিরেক্টর পি বীরামুথুভেল জানিয়েছেন যে ভবিষ্যতে রোভারে এরকম পারমাণবিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হতে পারে। জানা গিয়েছে, চন্দ্রযান-৩ মিশনের প্রপালশন মডিউলে দুটি ‘রেডিয়ো আইসোটোপ ইউনিট’ যুক্ত করা হয়। ইসরোর এক আধিকারিক জানিয়েছে, যে প্রপালশন মডিউল চাঁদের চারপাশে ঘুরপাক খাচ্ছে। এক রিপোর্ট অনুযায়ী, আধিকারিক জানিয়েছেন যে একেবারে নিখুঁতভাবে কাজ করছে ‘রেডিয়ো আইসোটোপ ইউনিট’। ওই ‘রেডিয়ো আইসোটোপ ইউনিট’ আসলে মহাকাশযানের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু অন্য এক বিজ্ঞানী দাবি করছেন, মোটেই এই   ‘রেডিয়ো আইসোটোপ ইউনিট’ যুক্ত করা হয়নি। কারণ তা করলে বিক্রম ও প্রজ্ঞানের ওজন বেড়ে যেত।