মাইনাস ২০০ ডিগ্রীতেও কাজ করছে ল্যান্ডার রোভার! চন্দ্রযান-৩ নিয়ে চরম সুখবর শোনাল ISRO

মাঝে বেশ কয়েকটা দিন কেটে গেলেও এখনও কিন্তু আশা ছাড়ছেন না বিজ্ঞানীরা (Scientist)। চাঁদের বুকে কার্যত একদম চিরঘুমে তলিয়ে গিয়েছে ISRO-র তৈরি চন্দ্রযান ৩-এর (Chandrayaan-3) ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞান। তাদের ঘুম কবে ভাঙবে সেই নিয়ে এখনও অবধি কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না বিজ্ঞানীদের পক্ষ থেকে। আদৌ আর ভাঙবে কিনা সেই নিয়েও উঠতে প্রশ্ন, যদিও হাল ছাড়তে নারাজ ইসরো।

   

ইসরোর বিজ্ঞানীরা এখনও আশাবাদী, আজ নয়তো কাল ল্যান্ডার ও রোভারের ঘুম ভাঙবেই। এদিকে মিশন চাঁদ, সূর্যের পর ইসরো জোরকদমে মিশন গগনযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইতিমধ্যে এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অবধি সেরে ফেলেছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। কিন্তু এরই মাঝে চন্দ্রযান ৩ নিয়ে প্রকাশ্যে এল বড় রকমের আপডেট, যা শুনে আপনিও চমকে যেতে পারেন বৈকি।

ইসরো অর্থাৎ ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা কিছুটা হলেও আশার খবর শুনিয়েছে। রোভার প্রজ্ঞানের জেগে ওঠার সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দেননি ইসরো প্রধান এস সোমনাথ। প্রজ্ঞান এবং ল্যান্ডার বিক্রম সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে স্লিপ মোডে রয়েছে। গত ২৩ আগস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নরম অবতরণ করে ইতিহাস সৃষ্টি করে চন্দ্রযান-৩ তথা ভারত।

এদিকে বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে রোভার নিয়ে আলোচনা করেন সোমনাথ (S. Somanath)। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে রোভার সেখানে শান্তিতে ঘুমাচ্ছে। তাকে শান্তিতে ঘুমাতে দিন। তাকে বিরক্ত করবেন না। যখন সে নিজে ঘুম থেকে জেগে উঠতে চাইবে, তখন সে জেগে উঠবে। এই মুহুর্তে, আমি এটি সম্পর্কে এটাই বলতে চাই।‘ জেগে ওঠার সম্ভাবনা নিয়েও স্বস্তির লক্ষণ দেখিয়েছেন তিনি।

chandrayaan 3 isro

ভারতীয় স্পেস এজেন্সির প্রধান বলেন, ‘আশা করার কারণ আছে। ল্যান্ডারের কাঠামোটি বড় ছিল এবং এটি পুরোপুরি পরীক্ষা করা যায়নি। কিন্তু রোভারটি যখন -২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পরীক্ষা করা হয়, তখন দেখা যায় এটি কম তাপমাত্রায়ও কাজ করছে। বলা হচ্ছে, চাঁদের বায়ুমণ্ডল সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ল্যান্ডার ও রোভারকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এর কারণও অনেক।‘ এদিকে ইসরোর প্রধানের বক্তব্য, ইতিমধ্যে যাবতীয় লক্ষ্যপূরণ করেছে চন্দ্রযান-৩ মিশন। ওই মিশনের সময় যে বৈজ্ঞানিক তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তা নিয়ে গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা।