চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan-3) মিশনের পরেই ইসরোর (Indian Space Research Organisation) এক পদক্ষেপকে ঘিরে চমকে যান সকলে। কারণ চাঁদের পর ISRO-র নজর যায় সূর্যের ওপর। ফলে ইসরো সৌর মিশনের লক্ষ্যে একপ্রকার ঝাঁপিয়ে পড়ে। কয়েক মাস আগেই লঞ্চ করা হয় আদিত্য এল ১ (Aditya L 1)।
ইসরো (ISRO) তার সৌর মিশনে একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে। আদিত্য-এল১ মিশনের পেলোড এইচইএল১ওএস সোলার ফ্লেয়ারের প্রথম হাই এনার্জির এক্স-রে ঝলক তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে। আদিত্য-এল১-এর হাই এনার্জি এল১ অরবিটিং এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার (এইচইএল১ওএস) সোলার ফ্লেয়ারের একটি দারুণ পর্যায় রেকর্ড করেছে। রেকর্ড করা ডেটা এনওএএর গোস দ্বারা প্রদত্ত এক্স-রে লাইট বক্ররেখার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
এইচইএল 1 ওএস ডেটা গবেষকদের সৌর ফ্লেয়ারগুলির আবেগপ্রবণ পর্যায়ে বিস্ফোরক শক্তি নিঃসরণ এবং বৈদ্যুতিন ত্বরণ অধ্যয়ন করতে সক্ষম করে। বেঙ্গালুরুর ইউ আর রাও স্যাটেলাইট সেন্টারের স্পেস অ্যাস্ট্রোনমি গ্রুপ এইচইএল ১ওএস তৈরি করেছে। ভারতবাসী হিসেবে শুনলে গর্বিত হবেন, ইসরো জানিয়েছে, গত ২৯ অক্টোবরের পর প্রথম পর্যবেক্ষণের সময় আদিত্য এল১ মহাকাশযানে থাকা হাই এনার্জি এল১ অরবিটিং এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার (এইচইএল১ওএস) সোলার ফ্লেয়ার রেকর্ড করেছে।
এদিকে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ইসরোর এক বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, সোলার ফ্লেয়ারের প্রথম উচ্চ শক্তির এক্স-রে ঝলক রেকর্ড করা ইঙ্গিত দেয় যে মিশনটি এখনও পর্যন্ত প্রত্যাশিত ভাবে কাজ করছে। অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগছে যে ইসরোর এই মিশনের লক্ষ্য কী? এই বিষয়ে ইসরো জানিয়েছে, এই মিশনটি কাজ শুরু করার পর ISRO রিয়েল টাইমে সূর্যের গতিবিধি সম্পর্কে জানতে পারবে। আদিত্য L-1 মহাকাশযান সাথে নিয়ে গেছে ৭ টি বৈজ্ঞানিক যন্ত্র।