চাঁদ, সূর্য অতীত! এবার এই গ্রহে ভারতীয় পতাকা ওড়াবে ISRO! ঘোষণা এস সোমনাথের

ISRO-র নজরে রয়েছে চাঁদ, সূর্য। চলতি বছরে পরপর দুটি গুরুত্বপূর্ণ মিশন চন্দ্রযান ও সৌর মিশন করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ইসরোর। বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে কত অচেনা, অজানা রহস্য যে লুকিয়ে রয়েছে তার কোনও ইয়ত্তা নেই। ইতিমধ্যে চাঁদ, সূর্যের রহস্য ভেদ করতে বড় মিশন শুরু করে দিয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। কিন্তু এই দুটিতেই থামতে চাইছেন না বিজ্ঞানীরা । চাঁদ, সূর্যের পর ইসরোর নজর পড়ল আরও এক গ্রহের ওপর। জানা গিয়েছে, মহাকাশের অজানা রহস্য খুঁজে বের করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ভারত। জোরকদমে কাজ করছে ইসরো। মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ (S. Somanath) নতুন এক মিশনের কথা ঘোষণা করেছেন।

   

চাঁদ, মঙ্গল এবং সূর্যের পর ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO) এখন শুক্রের (Venus) রহস্য অনুসন্ধানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। নয়াদিল্লিতে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সায়েন্স অ্যাকাডেমিতে ভাষণ দিতে গিয়ে সোমনাথ বলেন, ‘আমাদের নক্ষত্রমণ্ডলের সবচেয়ে উজ্জ্বল গ্রহ শুক্র। আর এই গ্রহে যাওয়ার জন্য আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এর জন্য পেলোড ইতিমধ্যে তৈরি করা হয়েছে।‘ এস সোমনাথ আরও বলেন, “শুক্র একটি আকর্ষণীয় গ্রহ এবং এটির গবেষণা মহাকাশ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে সহায়তা করবে।“

বিজ্ঞানীরা তথা এস সোমনাথ জানাচ্ছেন, পৃথিবীর মতো শুক্র (Venus) গ্রহেও বায়ুমণ্ডল রয়েছে। এর বায়ুমণ্ডল খুবই ঘন। বায়ুমণ্ডলীয় চাপ পৃথিবীর চেয়ে ১০০ গুণ বেশি এবং এটি অ্যাসিডে ভরপুর। আমরা শুক্রকে বোঝার চেষ্টা করছি কারণ পৃথিবীর জিনিসগুলি একদিন শুক্রের মতো হতে পারে । হয়তো ১০,০০০ বছর পর আমরা আমাদের গ্রহে আমাদের বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করব। পৃথিবী কখনোই বর্তমান সময়ের মতো ছিল না। হাজার হাজার বছর আগেও এই পৃথিবী বাসযোগ্য ছিল না। কিন্তু এখন এখানে জীবনই জীবন।‘

somnath

উল্লেখ্য, ভারতের আগে শুক্রে গিয়েছে আমেরিকা। নাসার পার্কার সোলার প্রোব শুক্রে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। ২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি নাসা জানায়, পার্কার সোলার প্রোব ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মহাকাশ থেকে শুক্রগ্রহের পৃষ্ঠের প্রথম দৃশ্যমান আলোর ছবি তুলেছিল। এছাড়া ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (ইএসএ) ভেনাস এক্সপ্রেস এবং জাপানের আকাতসুকি ভেনাস ক্লাইমেট অরবিটার যাওয়ার চেষ্টা করেছিল শুক্রে।