চেয়ে দেখবে গোটা বিশ্ব, জুলাই মাসেই বড় কারনামা করতে চলেছে ISRO! নাম উজ্বল হবে ভারতের

এবার আরও এক ধাপ এগোনোর কাজ শুরু করে দিল ইসরো (ISRO)। জানা গিয়েছে, চন্দ্রযান-১ ও চন্দ্রযান-২-এর পর এবার চন্দ্রযান-৩-এর পালা। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (Indian Space Research Organisation) চন্দ্রযান-৩ চাঁদে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তবে কবে হবে এই চন্দ্রযান ৩-এর উৎক্ষেপণ জানেন? শোনা যাচ্ছে, এই চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণ হতে পারে জুলাই মাসে। আগামী ১২ জুলাই ভারতের চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণ করা হবে বলে জল্পনা চলছে। শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে ইসরোর সবচেয়ে শক্তিশালী লঞ্চ ভেহিকল মার্ক-থ্রি (এলভিএম৩) রকেট।
এর আগে ২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২ উৎক্ষেপণে একটি স্যাটেলাইট, বিক্রম নামে একটি ল্যান্ডার এবং প্রজ্ঞান নামে একটি রোভার ছিল। তবে অবতরণের ঠিক আগে বিক্রম ল্যান্ডারটি বিস্ফোরিত হওয়ায় মিশনটি আংশিকভাবে সফল হয়েছিল। এই ঘটনায় কেঁদে ফেলেন তৎকালীন ISRO চীফ কে সিভান।
এরপর থেকেই চাঁদে ল্যান্ডার ও রোভার অবতরণের স্বপ্ন রয়ে গেছে ভারতের। তবে এবার ইসরো সেই স্বপ্নটাকে খুব শীঘ্রই বাস্তবে রূপান্তরিত করতে চলেছে। নিজেদের কাজে কোনওরকম খামতি রাখতে চাইছে না ইসরো।
আগেরবারের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সেদিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করেছে এই ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা। শোনা যাচ্ছে, নতুন মিশনে একটি ল্যান্ডার এবং একটি রোভার জড়িত। মোট ওজন ৩৯০০ কেজি। এর মাধ্যমে ইসরো স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে ল্যান্ডারকে অবতরণ করাই তাদের লক্ষ্য।
ইসরোর প্রধান এস সোমনাথ সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, “চন্দ্রযান ৩-এর মূল লক্ষ্য হল ল্যান্ডিং। এর জন্য অনেক কাজ করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে নতুন উপকরণ তৈরি করা, আরও ভালো অ্যালগরিদম তৈরি করা এবং ফেলিওর মোডের প্রতি নজর দেওয়া।”
এদিকে মিশনের সাফল্যের লক্ষ্যে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) চেয়ারম্যান ডঃ শ্রীধর সোমনাথ মহাকাল পরিদর্শনে উজ্জয়নে গিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মহর্ষি পানিনী সংস্কৃত ও বৈদিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক বিজয় কুমার সিজি। তারা দুজনেই মহাকাল মন্দিরে পৌঁছে ভগবান গর্ভ গৃহে পূজা ও উপাসনা করেন।