আর নেই চিন্তা, এবার কলকাতা থেকে ট্রেনে করেই যেতে পারবেন সুন্দরবন! বড় উদ্যোগ রেলের

সুন্দরবন (Sundarbans) নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে সুবিস্তৃত জলরাশি, বাঘ, কুমির, ছোট ছোট হাড়ির মধ্যে দিয়ে নৌকা, লঞ্চের চলে যাওয়া। এই সুন্দরবনের সারা বছরই পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়ে। যারা একটু অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করে তাদের কাছে সুন্দরবন দারুণ অপশন। এখানেই রয়েছে পৃথিবীর সবথেকে বড় ম্যানগ্রোভ ইকোসিস্টেম।

এছাড়া এখানে থাকা টাইগার রিজার্ভ এবং বায়ো রিজার্ভ পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। হাতে দু-তিন দিনের সময় থাকলে অনেক পর্যটকই আছেন যারা সুন্দরবনে ছুটে চলে যান। যদিও সুন্দরবন পৌঁছাতে গেলে যথেষ্ট ঝক্কি পোহাতে হয় পর্যটকদের। প্রথমে লোকাল ট্রেনে করে ক্যানিং তারপর সেখান থেকে টোটো বা অটো করে লঞ্চ ঘাট এরপর সেখান থেকে লঞ্চে করে সুন্দরবন ভ্রমণ।

কিন্তু আপনাকে যদি বলা হয় এবার সেই ঝক্কি আর পর্যটকদের পোহাতে হবে না তাহলে কেমন হয়? কারণ খুব সম্ভবত রেলপথের সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছে সুন্দরবন! এই রেল পথ চালু হলে কলকাতা থেকে আরও সহজে এবং কম সময়ের মধ্যে সহজেই পৌঁছানো যাবে সুন্দরবন। কানাঘুষো অন্তত এমনটাই শোনা যাচ্ছে।

এদিকে প্রাথমিক পরিকল্পনা এবং সমীক্ষা সারা হয়ে গেলেও রাজ্যে থমকে রয়েছে বহু রেল প্রকল্পের কাজ। থমকে রয়েছে তারকেশ্বর-ধনেখালি সহ আরামবাগ-চাঁপাডাঙা, তারকেশ্বর-মগরা, কাটোয়া-মন্তেশ্বর, ডানকুনি-ফুরফুরা শরিফ, আমতা-বাগনান, কাঁথি-এগরা, বাঁকুড়া-মুকুটমণিপুর, ইড়পালা-ঘাটাল, ঘাটাল-পাঁশকুড়া প্রকল্পের কাজ। এদিকে শোনা যাচ্ছে, পর্যটকদের কথা চিন্তা করে ক্যানিং থেকে ভাঙ্গনখালি পর্যন্ত এবং ভাঙ্গনখালি থেকে ঝড়খালি পর্যন্ত দ্বিতীয় দফার সম্প্রসারণ এর কাজ শুরু করতে চাইছে রেল মন্ত্রক।

sundarban

যদিও এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যখন তিনি রেলমন্ত্রীর কুর্সিতে ছিলেন। রেলমন্ত্রী থাকা অবস্থায় মমতা মোট তিনটি পর্যায়ে ক্যানিং থেকে ঝড়খালি পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণের কাজ করার অনুমোদন দিয়েছিলেন। প্রথমটি হল হল ক্যানিং থেকে ভাঙ্গনখালি, যার দূরত্ব ৪.৮৪ কিলোমিটার, দ্বিতীয়টি হল ভাঙনখালি থেকে সরাসরি বাসন্তী পর্যন্ত, যার দূরত্ব মোট ১৪.৩০ কিমি এবং তৃতীয়টি হল বাসন্তী থেকে ঝড়খালি, যার দূরত্ব হল ২৩ কিলোমিটার।