ভারতের সবথেকে উঁচু চেনাব রেল ব্রিজের উপর শুরু হল এই কাজ, জানুন কবে হবে শেষ

কয়েকদিন আগেই বিল গেটস (Bill Gates) তার ব্লগে জানিয়েছেন ‘India’s Doing It’ অর্থাৎ ভারতের (India) প্রতিটি পদক্ষেপ সঠিক। আবার আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের স্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন এই দেশে এসে জানান, ভারত ছাড়া বিশ্বের উন্নয়ন অসম্ভব। IMF, বিশ্বব্যাংক সহ প্রতিটি সংস্থাই ভারতের প্রভূত নাম করে। বিশ্বের সামনে ধীরে ধীরে নিজেকে তুলে ধরছে মোদীর ভারত।
এদিকে ভারতের একের পর এক পদক্ষেপ সারাবিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন হোক অথবা বিশ্বের সবচেয়ে বড় মূর্তি (Statue Of Unity), ভারত সবই করেছে অত্যন্ত সফলভাবে। আর এবার ৭০ বছর ধরে উপেক্ষিত কাশ্মীরে একেরপর এক উন্নয়ন মূলক কার্য চালাচ্ছে সরকার।
সন্ত্রাসবাদ থেকে শিকড় থেকে নির্মূল করে সেখানে উন্নয়নমূলক কাজ করা হচ্ছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেতু নির্মাণ হয়েছে চেনাব নদীর (Chenab River) ওপর। চেনাব ব্রিজের যা উচ্চতা তাতে আইফেল টাওয়ারের থেকেও বেশি। বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু রেল সেতু বানানো হচ্ছে জম্মু কাশ্মীরের চেনাব নদীর ওপর। যেটি উচ্চতায় ৩৫৯ মিটার লম্বা।
প্যারিসের বিশ্বখ্যাত আইফেল টাওয়ারের থেকেও উঁচু সেতুটি একটি মাইলফলক হিসেবে প্রমাণিত হতে চলেছে। সেতুর কাজ শেষে হওয়ার পর সেখানে রেলট্র্যাক বসানোর কাজ শুরু হতে চলেছে। কাটরা থেকে বানিহাল পর্যন্ত এই রেললাইনটি চেনাব নদীর ওপর ১.০৩ কিমি বিস্তৃত। এটির কাজ সম্পূর্ন হলে সেটি উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুল্লা রেলওয়ে লিঙ্ক হিসেবে কাজ করবে।
রেল মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি এই সেতুটি ঘণ্টায় ২৬০ কিলোমিটার বেগে চলা বাতাসও সহ্য করতে সক্ষম। আগামী ১২০ বছর কোনো সমস্যা ছাড়াই কাজ করবে এই সেতুটি। উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুল্লা রেল সংযোগের ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের সাথে সংযোগকারী লাইনের জন্য সমস্ত টানেল তৈরি করার কাজও সম্পূর্ন। এখন শুধু চেনাব রেলসেতুর ওপর ট্র্যাক বসানোর কাজ হলেই সমস্ত কাজ সম্পূর্ণ হয়।
রেল যোগাযোগের জন্য মোট ১১১ কিমি দীর্ঘ রেল সেকশন তৈরি করা হচ্ছে কাটরা থেকে বানিহালের মধ্যে। এই লাইনটি খুবই স্পর্শকাতর এলাকার মধ্যে দিয়ে যায় কারণ লাইনের ৯৭.৩৪ কিমি রয়েছে টানেলের অন্দরে। এতে জম্মু থেকে বারামুল্লা পর্যন্ত পাহাড়, ঢাল এবং ভূমিকম্প সহ একটি স্পর্শকাতর এলাকা রয়েছে। মোট ২৭ টি বড় সেতু এবং ১০ টি ছোট সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। মোট ২১টি সেতু ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে।