পশ্চিমবঙ্গের জন্য সুখবর, প্রায় এক দশক পর মিটছে যন্ত্রণা! নতুন লাইনের ইঙ্গিত রেলের

রেলপথে (Indian Railways) বাঁকুড়াবাসীর (Bankura) জলদি জলদি হাওড়া (Howrah) পৌঁছানোর পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল রেলপথের সমস্যা। এতদিন বাঁকুড়া থেকে হাওড়া যাওয়া মানেই ছিল ৫-৬ ঘণ্টার ধাক্কা। সাত বছর আটকে ছিল এই কাজ, কিন্তু এবার সেই সমস্যার সমাধান হতে চলেছে।

বিষ্ণুপুর-তারকেশ্বর লাইনের কাজ অর্ধ সমাপ্ত হয় রয়ে গিয়েছিল। সমস্যার কেন্দ্র হলো ভাবাদিঘি। ৫২ বিঘা জলাশয়ের ওপর দিয়ে রেল পথ যাওয়া নিয়ে আপত্তি শুরু হয়। এবার রাজ্য সরকারের তরফে নতুন করে দরপত্র ডেকে রেলকে পূর্ন সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। ভাবাদিঘির পরিবেশকে ক্ষতি না করেই কাজ শুরু করবে রেল।

জানা যাচ্ছে যে, দিঘির পাড় ঘেঁষে যাবে এই রেল লাইন। দিঘির পরিবেশ সুরক্ষিত রাখার জন্য রেল লাইনকেই বাঁকিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে যে, এই জন্য জমিদাতাদের অর্থও দিয়েছে রেল। এর আগে ১১৪ কিমি লম্বা এই রেলপথের সূচনা করেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীনও তিনি এই সমস্যা কাটাতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু একের পর এক অশান্তির কারণে বন্ধ হয়ে যায় এই রেললাইনের কাজ।

এবার ৭ বছর পর সেই কাজ পুনরায় শুরু করেছে সরকার। বিষ্ণুপুর এবং তারকেশ্বরের দিক থেকে রেলপথ পাতার কাজ দ্রুতগতিতে চলতে থাকে। দ্বারকেশ্বর নদের উপরে রেল চলাচলের উপযুক্ত বড় সেতু নির্মাণের কাজও শেষ হয়ে যায় নির্দিষ্ট সময়ে। তবে রেল লাইনের সমস্যা শুরু হয় ভাবাদিঘির আশেপাশে।

রেল প্রথমে এই দিঘি বুজিয়ে ফেলার কথা ভেবেছিল। কিন্তু এলাকাবাসী আন্দোলনে নামার কারণে রেল তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়। তাছাড়া গ্রামের ৭০০ মানুষ ওই দিঘি ব্যাবহার করেন প্রতিদিন। সমস্যার কিছু দেখে রেল নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।

bhabadighi

আপাতত গোঘাটের ভাবাদিঘি গ্রামের কাছে পৌঁছেই শেষ হয়েছে লাইন পাতার কাজ। বাকি অংশের কাজ পুরোপুরি হয়ে গিয়েছে কিন্তু এবার এই অংশের কাজ পুরোপুরি হয়ে গেলে প্রজেক্টের কাজ সম্পূর্ন হয়ে যাবে। এই সম্পর্কে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “আমরা পুরো কাজের ওর্য়াক অর্ডার করে দিয়েছি। রাজ্য সরকার আমাদের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে। আমরা পরিবেশ রক্ষা করেই এই কাজ করব।

➦ আপনার জন্য বিশেষ খবর

Back to top button