দেশের লাইফলাইন বলা হয় ভারতীয় রেলকে (Indian Railways)। দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়ার ক্ষেত্রে মানুষ এই রেল ব্যবস্থার ওপরেই একপ্রকার চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করে থাকেন। দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিদিন এই ভারতীয় রেলের ওপর অগাধ ভরসা রেখে যাতায়াত করেন। প্রত্যেকদিন লাখ লাখ মানুষের ভিড় স্টেশনগুলিতে একপ্রকার উপচে পড়ে।
এদিকে যত সময় এগোচ্ছে ততই যেন আরও বেশি করে আপগ্রেড হচ্ছে ভারতীয় রেল। সময়ের সাথে সাথে ভারতীয় ট্রেন এবং স্টেশনগুলি উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। ভারতীয় রেল খুব উন্নত এবং এখানকার ট্রেন, স্টেশনগুলি বেশ হাই-টেক হয়ে উঠেছে। বর্তমানে ভারতীয় রেল অনেক হাই স্পিড ট্রেন চালাচ্ছে। যার মধ্যে সকলের নজর কেড়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। সময় যত এগোচ্ছে ততই এই ট্রেনের চাহিদা বাড়ছে মানুষের মধ্যে। অন্যদিকে মানুষের চাহিদার কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় সরকার এই ট্রেনের সংখ্যা রাজ্যে রাজ্যে বাড়িয়েই চলেছে।
এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন একাধিক রাজ্যে ছুটে চলেছে। তবে এই ট্রেন যেহেতু যথেষ্ট প্রিমিয়াম তাই এর ভাড়া থেকে শুরু করে ইন্টেরিয়র…যথেষ্ট ব্যয়বহুল। অনেকেরই ইচ্ছা থাকে এই ট্রেনে ওঠার কিন্তু পকেট সাথ দেয় না। এহেন অবস্থায় সকলের কথা ভাবনা চিন্তা করে রেল বন্দে ভারত সাধারণ ট্রেন লঞ্চ করতে চলেছে খুব শীঘ্রই। আসুন তাহলে আপনি এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে জেনে নিন দুই ট্রেনের মধ্যেকার কতটা আকাশ পাতাল তফাৎ রয়েছে।
প্রথমত বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের প্রত্যেকটি কামরাতেই রয়েছে এসি। যদিও বন্দে সাধারণ ট্রেনে কিন্তু কোনওরকম এসি থাকবে না। দ্বিতীয়ত হল দুটি ট্রেনের গতিবেগ। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৬০ কিমি বেগে ছুটতে পারে। কিন্তু সেক্ষেত্রে বন্দে সাধারনের গতি অনেকটাই কম হবে বৈকি। ভারতীয় রেলের তরফে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বন্দে ভারত সাধারণ ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি হল ঘন্টায় ১৩০ কিলোমিটার।
এছাড়া বড় বিষয় হল ভাড়া। যারাই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠেছেন তাঁরাই জানবেন এই ট্রেনের কতটা ভাড়া। সর্বোচ্চ ভাড়া ২০০০ টাকা, তাও আবার সিটিং-এর জন্য। যদিও সেক্ষেত্রে বন্দে সাধারনের টিকিট মূল্য অনেকটাই কম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।