দেশের এক প্রান্ত আরেক প্রান্তের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে বিশাল এক রেল (Indian Railways) নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। দেশের এমন কোনও রাজ্য নেই বা এমন কোনও জায়গা নেই যেখান থেকে রেলের পরিষেবা মেলে না। মানুষের সুবিধার্থে আরো কিছু প্রত্যন্ত জায়গায় রেল পরিষেবা যাতে ভালো করে শুরু করা যায় তার জন্য দিনরাত এক করে কাজ করে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার থেকে শুরু করে ভারতীয় রেল।
জানা গিয়েছে এবার ভারতীয় রেল কোমর বেঁধে ময়দানে নামতে চলেছে দেশে একসঙ্গে সাতটি করিডর তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভারতীয় রেল নেটওয়ার্কের রূপরেখা একপ্রকার আমূল বদলে যেতে চলেছে আগামী কিছু সময়ের মধ্যে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে আপনিও যদি হাওড়ার (Howrah) বাসিন্দা হয়ে থাকেন বা পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) বাসিন্দা হয়ে থাকেন তাহলে আপনারও গর্বে বুক ফুলে উঠবে।
জানা গিয়েছে, দিল্লি-হাওড়া, মুম্বই-হাওড়া, দিল্লি-মুম্বই, দিল্লি-গুয়াহাটি, দিল্লি-চেন্নাই, হাওড়া-চেন্নাই এবং মুম্বই-চেন্নাই- এই সাতটি হাই ডেনসিটি করিডোরের মাল্টি-ট্র্যাকিং-এর জন্য ৪.২ লক্ষ কোটি টাকার মেগা প্ল্যানের প্রস্তাব করেছে ভারতীয় রেল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার কাছে দেওয়া একটি প্রস্তাবে রেলমন্ত্রক জানিয়েছে, ২০২৪-২৫ থেকে ২০২৩-৩৪ সাল পর্যন্ত আগামী ১০ বছরে এই করিডোরের বিভিন্ন অংশে ট্র্যাফিকের চাহিদা অনুযায়ী তৃতীয় ও চতুর্থ লাইন দ্বিগুণ ও স্থাপন করা হবে।
এই পরিকল্পনায় ফ্লাইওভার এবং আন্ডারপাস নির্মাণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রস্তাবটি এমন এক সময়ে সামনে এসেছে যখন রেলওয়ে স্লিপার সুবিধাসহ আরও আধুনিক বন্দে ভারত ট্রেন চালু করার পরিকল্পনা করছে যার সর্বোচ্চ গতি ২২০ কিলোমিটার। রেলওয়ে এই করিডোরগুলিতে এমন ২১৩ টি প্রকল্প চিহ্নিত করেছে যা স্যাচুরেশন পয়েন্ট অতিক্রম করেছে এবং প্রথম পর্যায়ে এই জাতীয় ২০০ টি কাজ সম্পন্ন হবে। দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য রেলবোর্ড এবং মন্ত্রককে আরও আর্থিক ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে রেল।
সূত্রের খবর, সাতটি করিডোরে বিপুল সরকারি বিনিয়োগের প্রস্তাবের পিছনে প্রধান কারণ হ’ল আরও ট্রেন চালানোর ক্ষমতা বাড়ানো। এতে করে যাত্রীবাহী এবং মালবাহী ট্রেন আরও দ্রুত গতিতে গন্তব্যে পৌঁছতে পারবে এই রুটে। শোনা যাচ্ছে, এই সাতটি করিডরের সম্মিলিত রেললাইনে দৈর্ঘ্য হল ১০,৯৬৯ কিমি। ভারতের গোটা রেল নেটওয়ার্কের মাত্র ১৬ শতাংশ এটা। তবে এই সাতটি করিডরে রেলের ৪১ শতাংশ ট্রাফিক।